কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ও গ্রেফতার হওয়া মূল আসামি আওয়ামী লীগ কর্মী ফজর আলীকে 'বিএনপি কর্মী’ বলে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি।
রোববার বিকেল তিনটায় কুমিল্লা নগরীর একটি পার্টি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবাদ জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া। এসময় মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
[video width="1920" height="1080" mp4="https://protisomoy.com/wp-content/uploads/2025/06/InShot_20250629_154724828.mp4"][/video]
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, মুরাদনগরে ধর্ষণের মতো একটি জঘন্যতম অপকর্মের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা জড়িত থাকলেও মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমানের মদদে যুবলীগ নেতা আরিফকে দিয়ে কথিত কিছু মিডিয়ায় অপপ্রচার চালিয়ে দায় চাপাচ্ছে বিএনপির ওপর। এই অপপ্রচার প্রমাণ করে দেশ থেকে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও মুরাদনগরে আওয়ামী দোসররা বসে নেই। আর তাদের সব ধরনের শেল্টার দিচ্ছে ওসি জাহিদুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া থানার ওসি জাহিদুর রহমানের প্রত্যাহার দাবি করে অভিযোগ করেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও তার পরিবারের লোকজনের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে আওয়ামী দোসররা নানা অপকর্ম করছে। এরই ধারাবাহিকতায় মুরাদনগরের পাঁচ কিত্তা গ্রামে আওয়ামী লীগ কর্মী ফজর আলী কর্তৃক এক হিন্দু নারীকে ধর্ষণ ও তার সহযোগীরা ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার জঘন্য বিষয়টিকে বিএনপির নাম জড়িয়ে রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মুরাদনগরের চাঞ্চল্যকর এ ধর্ষণকাণ্ডের মূল হোতা আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া খোকনের বডিগার্ড ফজর আলী। সে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী সুমনের নেতৃত্বে ঘটনার সময়কার ওই নারীর বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করা হয়। যা পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাত দশটার দিকে মুরাদনগর থানার রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী ফজর আলী একই গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এলাকার লোকজনের হাতে আটক ও প্রহৃত হন।
পরে স্থানীয়দের হাতে আটক ও আহত ফজর আলী পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে শনিবার রাতে ঢাকার সায়দাবাদ এলাকা থেকে ফজর আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও পুলিশ ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার সাথে জড়িত চার জনকে আটক করে।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম