কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনের আগে ও ভোটের পরের দিন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে থানায় দায়ের করা দুইটি মামলাই মিথ্যা, বানোয়াট এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন নেতৃবৃন্দ।
নির্বাচনী সহিংসতার কথা উল্লেখ করে প্রথম মামলাটি করা হয় ভোটগ্রহণের সাতদিন আগে ৩ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় মামলাটি করা হয় নির্বাচনের পরের দিন ১১ ডিসেম্বর।মুরাদনগর থানায় দায়ের করা মামলা দুইটিতে আসামী করা হয়েছে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার অনুসারিদের।
মামলা দুইটিতে উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-কুমিল্লা উত্তর জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমান ভূইয়া, উত্তর রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ: হাকিম, বাংগরা বাজার থানা শ্রমিক লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ছাদেক মেম্বার,কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য অসিত বরণ সরকার ও কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: আল-আমিন সরকার, নরেশ মেম্বার ও আবু সাইদ মেম্বারসহ জাহাঙ্গীর আলম সরকার অনুসারি আরো কিছু নেতা কর্মী রয়েছেন।
রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের উপনির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান মো: ইকবাল সরকার জানান, ‘যারা মামলা দায়ের করেছেন বা দায়েরের নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নাড়ছেন তারা জাহাঙ্গীর আলম সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করে জয়লাভ করেছি। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু বকর আওয়ামী লীগের আরেকটি গ্রুপের সমর্থন নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছিল। ২ডিসেম্বর আমার নির্বাচনী গণসংযোগে হামলা গুলিবর্ষন যারা করেছে তারাই পরদিন আমাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম সরকারের অনুসারি নেতাকর্মীদের আসামী করে মামলা দিল।আবার নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরদিন ১১ ডিসেম্বর আরেকটি মিথ্যা মামলা করল। দুইটি মামলাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহি:প্রকাশ।
মুরাদনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন মেম্বার বলেন, দুইটি মামলাই সাজানো। মামলায় নির্দোষ নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখিত আসামিরা ঘটনাস্থলেও ছিল না। ঘটনাস্থলেরসিসি ক্যামেরা চেক করলেই দেখা যাবে কারা অপরাধি। শুধুমাত্র রাজনৈতিক হয়রানির কারণেই এ দুইটি মামলা করা হয়েছে।
রামচন্দ্রপুর বস্ত্র ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রহমান বলেন,একটি অশুভ শক্তির প্রশয়ে এসব মামলা হয়েছে।
কুমিল্লা উত্তর জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান ভূইয়া বলেন, যে কবির ভূইয়া বাদি হয়ে মামলা করেছে সে নিজেই অস্ত্র মামলার আসামি।
কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: আল-আমিন সরকার জানান, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য আমরা যারা নির্বাচনের মাঠে কাজ করেছি আমাদের পলিটিক্যাল ইমেজ ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে ওই দুইটি মামলা করা হয়েছে। আমরা এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানাচ্ছি।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম