ছবি: পবিত্র আশুরার ছুটিরদিনে খালের উপর নির্মাণাধীন স্থাপনার কাজ করছে শ্রমিকরা #
সরকারি খাল দখল করে সন্ধ্যা থেকে রাত অব্দি স্থাপনা নির্মাণের খবর কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর দখলদাররা সময়সূচি পাল্টিয়ে এবার সরকারি ছুটির দিন বেছে নিয়েছে। অভিনব কৌশলে দখলযজ্ঞের কাজ যেমন থামানো যাচ্ছেনা, তেমনি প্রশাসনের কর্মকর্তারা অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের জায়গা থেকে দখলদারদের একবিন্দু টলাতে পারছেনা।
ঘটনাটি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আন্দিকোট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাধীন বাঙ্গরা বাজার থানার হায়দরাবাদ মৌজায় সামছুল হক কলেজের সীমানা লাগুয়া এলাকায়।
উচ্ছেদাভিযান চালিয়ে সরকারি খালটি দখলমুক্ত করার বিষয়ে ‘আশার বাণী’ শুনিয়েছেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর।
দখলদাররা এবার রাতের পরিবর্তে সরকারি ছুটির দিনে খাল দখল করে অবৈধ পাকা স্থাপনার নির্মাণ কাজ করার অভিনব কৌশল গ্রহণ করেছে। যাতে কেউ অভিযোগ করলেও ছুটির দিনে তাদের কাজে বাধা দিতে পারবে না।
গত ২৩ আগস্ট মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার পর ২৬-২৭ আগস্ট সরকারি খালের উপর স্থাপনা নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখলেও সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় ২৮-২৯-৩০ আগষ্ট আশুরার সময় পর্যন্ত টানা তিনদিন খাল দখলের জায়গায় পাকা ভবনের নির্মাণ কাজ এগিয়ে নিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খাল দখলদাররা আগামী শুক্র-শনিবার সরকারি ছুটির দিনে স্থাপনা নির্মাণ কাজের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
এদিকে গত ১ সেপ্টেম্বর হায়দরাবাদ সামছুল হক কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম কলেজ সীমানা ঘেঁষে চলমান খালটি দখলের কারণে এখানকার পরিবেশের ক্ষতি, পানি নিস্কাশন ব্যবস্থায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়া এবং অবৈধ মার্কেট নিমার্ণের ফলে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্টসহ শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বিঘœ সৃষ্টি হওয়ার আশংকা উল্লেখ করে সরকারী খালের জায়গা থেকে জনস্বার্থে ওই নির্মাণাধীন অবৈধ স্থাপনা অপসারণের দাবী জানিয়ে কুমিল্লাজেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দিয়েছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর জানান, যারা খাল দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দখলদার যে-ই হোক তাদের কোন অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবেনা। আমরা অবশ্যই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো।
উল্লেখ্য, সরকারি খালের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের শুরুতেই বাধা দেন আন্দিকোট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ভূমি অফিসের লোকজন। পরে বাঙ্গরা থানা পুলিশ এসেও স্থাপনা নির্মাণে বাধা দেয়। এরপর মুরাদনগরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম কমল সরকারি খাসের খালের জায়গায় কাজ বন্ধসহ নির্মাণাধীন স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেন দখলদারদের। কিন্তু কোনো কিছুতেই তোয়াক্কা করেনি দখলদাররা।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম