নেতা-কর্মী, সমর্থকসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন মেহেরপুরের সর্বজন প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব, সজ্জন, নির্লোভ নেতা মাহবুবুর রহমান মধু।
রবিবার (৩০ আগস্ট)সকালে মেহেরপুরের জনপ্রিয় এই আওয়ামী লীগ নেতা নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন।(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বিকেলে আসর নামাজ শেষে মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে শহরের পুরাতন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মাহবুবুর রহমান মধুর পরিবার সূত্রে জানা যায়,তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন দুরাগ্যে রোগে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি স্ত্রী, চার পুত্র ও তিন কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মেহেরপুরের ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান মাহবুবুর রহমান মধু মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।তিনি মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুলের ছোট চাচা হন।
এদিকে মাহবুবুর রহমান মধুর মৃত্যুতে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এছাড়াও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ও জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট খন্দকার একরামুল হক হীরা, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার এলাকার মরহুম নূর মোহাম্মদের দশ ছেলে-এক মেয়ের ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সবার ছোট সন্তান ছিলেন মাহবুবুর রহমান মধু। এক এক করে এই পরিবারে সবাই চলে গেলেন না ফেরার দেশে। পরিবারের সবার ছোট হওয়ায় ছেলেবেলা থেকেই আদরে বড় হয়েছেন মাহবুবুর রহমান মধু।তার মৃত্যুতে মেহেরপুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বার্ধক্যজনিক কারণে মারা গেলেও তিনি এলাকার এবং দলের জন্য একজন নীতিবান আদর্শিক পরামর্শক ছিলেন।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম