ভূয়া করোনা রিপোর্টের চেয়েও ভয়াবহ মানহীন, ভেজাল, নকল ওষুধের ফলাফল।রোগ নিরাময়ের জন্য এসব নকল ভেজাল ওষুধ খেয়ে মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এধরণের ভেজাল কারবারের বিরুদ্ধে কুমিল্লায় র্যাবের অভিযান জোরদার হয়ে ওঠেছে।
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মিস্ত্রি জংশন এলাকায় টেলি হেলথ শপ এবং জার্মান হোমিও ক্লিনিক নামে দুইটি প্রতিষ্ঠানে রবিবার (৯আগষ্ট) দুপুরে অভিযান চালায় র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ দল। এ অভিযানে সহযোগিতা করে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
দোকান দুইটিতে অভিযানে বেরিয়ে আসে নকল, ভেজাল ও মানহীন ওষুধ নানা কৌশলে কী ভাবে বিক্রি করে। জানা গেছে, টেলি হেলথ শপ এবং জার্মান হোমিও ক্লিনিক নামে প্রতিষ্ঠান দুইটি দীর্ঘদিন যাবৎ যথাযথ কর্তৃপক্ষের বৈধ অনুমোদন ছাড়াই নকল ও ভেজাল ওষুধ প্রস্তুত করে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ, ভারতসহ প্রভৃতি রাষ্ট্রে উৎপাদিত ঔষধ হিসেবে নকল মোড়কে কুরিয়ারের মাধ্যমে বাজারজাত করে আসছে।
টেলি হেলথ শপ এবং জার্মান হোমিও ক্লিনিক নামের প্রতিষ্ঠান দুইটি কোন ধরনের মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিভিন্ন ভেজাল কাঁচামাল ব্যবহার করে ঔষুধ প্রস্তুত করে তা বাজারজাত করে সাধারণ জনগণের সাথে প্রতারণা করে আসছে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের ভোজল বিরোধি বিশেষ অভিযানে অননুমোদিত, নকল ও ভেজাল ঔষধ প্রস্তুত ও বাজারজাত করার দায়ে টেলি হেলথ শপের মালিক লক্ষীপুর জেলার হোসেনপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মো. আরিফ (৩৬), তার মার্কেটিং ম্যানেজার একই জেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৬৫) এবং জার্মান হোমিও ক্লিনিকের মালিক একই জেলার হিরামন বাজার গ্রামের মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে মো. জহির উদ্দিন (৪৪) কে আটক করা হয়।
এসময় কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা অপরাধ আমলে নিয়ে ওষুধ আইনে আটককৃতদের আর্থিকদন্ডাদেশ হিসেবে এক লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং প্রতিষ্ঠান দুইটি সিলগালা করে দেন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম