কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত জুড়ে পর্যটক আর পর্যটক। যেন কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। লাখো পর্যটকের সমাগম এখন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। পরিবার-পরিজন এবং বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বেড়াতে আসা পর্যটকরা সমুদ্র সৈকতে গোসল এবং ঘোড়া, বীচবাইক, জেটস্কি চড়ে আনন্দ আর হৈ–হুল্লোড় করছেন। পর্যটকের পদচারণায় পুরো সমুদ্র সৈকত কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে। পর্যটন জোন কলাতলীতেও তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
দেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ায় এবং পৌষের শীতের আমেজে কক্সবাজার এখন পর্যটকে মুখরিত।
পর্যটক ঘিরে জমে উঠেছে হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস, শুটকি বাজার, বার্মিজ বাজার ও বিচের নানা রকম ব্যবসা। সৈকত এলাকার ফটোগ্রাফারদের আয় রোজগার হচ্ছে বেশ।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার থেকে হোটেল-মোটেল ও কটেজের ৯০ শতাংশ কক্ষ বুকিং রয়েছে।
কলাতলী-মেরিন ড্রাইভ হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি মুকিম খান বলেন, ‘পর্যটন মৌসুম বহু আগে শুরু হলেও সেন্টমার্টিন পর্যটক গমন নিষেধ থাকায় এতদিন পর্যটন ব্যবসা জমেনি। ডিসেম্বরের শুরুতে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু হলে চাঙ্গা হয়ে উঠে পর্যটন শিল্প। এর ফলে বেড়েছে পর্যটক। বর্তমানে সব ধরনের হোটেলে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কক্ষ বুকিং রয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্তও ইতিমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে।’
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, 'ভারতে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ বন্ধ থাকায় সেই শূন্যতা অনেকটা পূরণ হয়েছে। ভারত যেতে না পেরে অনেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসছেন।’
এদিকে বর্তমানে কক্সবাজার আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর নিরাপত্তা জোর রাখা হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা ও থানা পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বলয় রাখা হয়েছে।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম