দেখতে দেখতে ডালপালায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে চাষি নীল কমলের শিমের মাচা।থোকা থোকা বেগুনি ফুলের সমাহার মাচা জুড়ে।আর এতেই মিশে আছে শিম চাষি নীল কমলের লাখ টাকার স্বপ্ন।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সিনাই ইউনিয়নের পাল পাড়া গ্রামের শিম চাষি নীল কমল (৬০) ১৮ শতক জমির মাটিতে বোনেছেন শিমের বীজ।সেই বীজ থেকে চারা গজিয়ে গাছে রূপান্তরিত হয়ে ডালপালায় পরিপূর্ণ হয়েছে মাচা। বেশ পরিচর্যা করছেন।পোকার আক্রমণ থেকে শিম রক্ষা করতে নিয়মিত স্প্রে দিয়ে যাচ্ছেন।
এবারের বন্যায় পটল চাসে বেশ লোকসান গুনতে হয়েছে নীল কমলকে।এবারে সেপ্টেম্বরেই পটলের মাচায় শিম বুনেছেন। লাভের লাভ টাকার ঘরে থাকবে এমন আশা করে বললেন-‘পটল খেতের মাচাকে কেন্দ্র করে ১৮ শতক জমিতে বারী-১ জাতের শিম চাষ করেছি।পূর্বের মাচা থাকায় খরচ কমে যাওয়ায় শিম চাষে আমার ব্যয় হয়েছে মাত্র ৬ হাজার টাকা। এবার আবহাওয়া বেশ ভালো। ফলন খুবই ভালো হবে। শিম বিক্রি করে লাভবান হবো। বাজার দর ভালো পেলে এক লাখ টাকার শিম বিক্রি করার আশা করছি।’
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ‘কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলার ৪ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে শাক সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তার মধ্যে ১শ ৭০ হেক্টর জমিতে এখন পর্যন্ত শিম চাষ করা হয়েছে। অনুকুল আবহাওয়া বিদ্যমান থাকলে এবং সঠিক পরিচর্যা পেলে এবার কুড়িগ্রামে আশানুরূপ শিমের ফলন হবে। আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে শিম চাষ শুরু হয়। শিমের প্রতিটি মাচায় ৭৫-১০০ গ্রাম টিএসপি, পটাশ, জিপস সার ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। অন্যান্য সবজি চাষের থেকে শিম চাষে খরচ তুলনামূলক কম।’
(জাগো নিউজ ২৪ অবলম্বনে)
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিন। এছাড়া protisomoy ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন ও বেলবাটন ক্লিক করে নতুন নতুন ভিডিও নিউজ পেতে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম