ছবি: কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. মজিবুর রহমান #
গতবছরের ৯ ডিসেম্বর কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। নতুন কমিটিতে সভাপতি রুহুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের নাম কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষণা করা হয়। পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটির জন্য নামের খসড়া তালিকা এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মেদ হোসেনের নিকট কমিটি জমা দেওয়া হয়। নতুন কমিটির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ তালিকা নিয়ে ইদানিং উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কেউ কেউ গণমাধ্যমে মনগড়া কথা বলছেন। কাদা ছোড়াছুড়ি করছেন নিজেরা।
দলের সভাপতি রুহুল আমিন দলের কিছু কিছু নেতাকর্মীর এধরণের আচরণে বিস্মিত হয়েছেন। তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমরা নতুন কমিটির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাঠিয়েছি। এখন এটা কেন্দ্রিয়ভাবে যাচাই বাছাই হবে। কারা আওয়ামী লীগের লোক, আর কারা আওয়ামী লীগ পরিপন্থী এটা দলের হাই কমান্ড দেখবেন।’
এদিকে গত ৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মো. মজিবুর রহমান ও তার পারিবারিক এবং রাজনৈতিক পরিচিতি বিকৃতভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীনভাবে উপস্থাপন করার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের রাজনীতিতে তিনি জড়িত ছিলেন এবং থানা কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। যুবলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্যও ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগে যুক্ত হয়ে উত্তর জেলাতে বিগত কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন। কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রস্তাবিত তালিকাতেও তার নাম রাখা হয়েছে। তার পিতা আবদুল খালেক আড়তদারও চান্দিনার মাধাইয়ায় আওয়ামী লীগের একজন নিষ্ঠাবান সমর্থক ছিলেন। অথচ তার পিতাকে রাজাকার এবং তাকে রাজাকারপুত্র আখ্যা দিয়ে কিছু সংবাদপত্র তাদের প্রকাশিত সংবাদে তার রাজনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে। এধরণের সংবাদের তীব্র নিন্দা জানান আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমান। তিনি সত্যনির্ভর ও গঠনমূলক সংবাদ প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহবান জানান।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম