মানুষকে করোনায় সচেতন করতে সারাদেশে দলীয় নেতাকর্মীদের ক্যাম্পেইন পরিচালনা করার ওপর গুরুত্বারোপ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিয়ত সচেতনামূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। ঈদ উৎসব যেন অন্তিম যাত্রায় বা উৎসবে পরিণত না হয়। এই ক্যাম্পেইনটা সবারই করা উচিত। এটা না করে দেশি বিদেশি মিডিয়া অহেতুক সমালোচনা করছে।’
সোমবার (১০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ও খাদ্যসহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। সরকারি বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।
এদিন ১৩টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাঝে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী এবং খাদ্যসহায়তা বিতরণ করা হয়।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অবশেষে বেগম খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট রিপোর্টে তার আসল জন্মদিনের সঠিক তথ্য প্রকাশিত হলো। একাধিক জন্মদিনের নামে জাতিকে এতদিন বেগম জিয়া অন্ধকারে নিমজ্জিত করে রেখেছিলেন। প্রকৃত অর্থে তার জন্মদিন করোনা টেস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী ৮ মে।’
দীর্ঘদিন মানুষ অসত্যের সাথে চলতে পারে না, পারে না সত্যকে লুকিয়ে রাখতে, হাতের তালু দিয়ে যেমন আকাশ ঢাকা যায় না, তেমনি সত্যকেও কখনো আড়াল করে রাখা যায় না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে এক নির্মম, বেদনাদায়ক হত্যাকাণ্ড ১৫ আগস্ট অথচ কতটা নিষ্ঠুর হলে এই দিনে বেগম জিয়া এতদিন তার ভুয়া জন্মদিন পালন করে আসছিলেন।’
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী কি পারতেন না শোকাবহ ১৫ আগস্টে ভুয়া জন্মদিনের অনুষ্ঠান না করতে?’
বেগম জিয়ার মেট্রিকুলেশন সনদ অনুযায়ী জন্মদিন ৯ আগস্ট ১৯৪৫, বিবাহ সনদে ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫, পাসপোর্ট সনদ ১৯ আগস্ট ১৯৪৫, আবার দাবি করেন ১৫ আগস্ট ১৯৪৫ তার জন্মদিন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একজন মানুষের এতগুলো জন্মদিন থাকা নিয়ে দীর্ঘদিনের রহস্য এখন নতুন করে বেগম জিয়াই উন্মোচন করেছেন।
তিনি বলেন, অবশেষে করোনা টেস্টের জন্য দেয়া তথ্যে জানা গেল বেগম জিয়ার জন্মদিন ৮ মে ১৯৪৬।’
দেশ-বিদেশে মিডিয়ার একটি অংশ ও কোনো কোনো নেতা প্রতিনিয়ত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে অন্ধ সমালোচনা করা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আবদুর রাজ্জাক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির এবং সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেন।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম