কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুভাষিত ঘোষ বলেছেন, গ্রাম বাংলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে পাঠাগারের বিকল্প নেই। মানুষ তার সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে পারে বই পড়ে। একটি সমাজকে সৃজনশীল করে তুলতে পারে একটি পাঠাগার।পাঠাগারে সংরক্ষিত বই পড়ে মানুষ নিজের মধ্যে জ্ঞানের সেতুবন্ধ রচনা করতে পারে।পাঠাগার একটি জাতির বিকাশ ও উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা ছাড়া জাতীয় চেতনার উন্মেষ ঘটে না।আর তাই পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা তাই প্রতিটি সমাজে অনিবার্য। বিশেষ করে জ্ঞানতৃষ্ণা নিবারণ করতে প্রয়োজন পাঠাগার।তাই প্রতিটি গ্রামে, মহল্লায় পাঠাগার গড়ে তোলা প্রয়োজন।কুমিল্লার গ্রামীণ জনপদে বাংলাদেশ পাঠাগার আন্দোলন যেভাবে কাজ করছে এর মধ্য দিয়ে সমাজে শিক্ষার বাতিঘর হিসেবে পাঠাগার আন্দোলনকে এগিয়ে নিচ্ছে। আগামীদিনে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় আরও পাঠাগার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।
মহান ভাষার মাস উপলক্ষে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সাওড়াতলী গ্রামের পাঠাগার কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক পাঠাগার ও বিজ্ঞান ক্লাব এবং বিদ্যাসাগর উন্মুক্ত পাঠাগারের যৌথ আয়োজনে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাওড়াতলী গ্রামের পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. ইমাম হোসাইন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক নাছিমা আক্তার পুতুল। বক্কব্য রাখেন- ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তাহের মেম্বার, উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক কামাল হক, আলোর ভুবন পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মীর হোসেন, অমর একুশে পাঠাগরের সভাপতি মোরশেদ আলম, জামাল হক স্মৃতি পাঠাগার ও ক্রীড়া ক্লাবের সভাপতি জহিরুল হক ও সেক্রেটারি ওমর ফারুক সানি প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মো. ইমাম হোসাইন বলেন, শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি। পাঠাগার একটি জাতির বিকাশ ও উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা গ্রামীণ জনপদে পাঠাগার গড়ে তুলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে চাই। সদর দক্ষিণের প্রতিটি গ্রাম, মহল্লায় পাঠাগার গড়ে তুলে মানুষের বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করতে চাই।
অনুষ্ঠানে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ৫ টি পাঠাগারকে শ্রেষ্ঠ সংগঠন হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
Last Updated on February 25, 2021 7:25 pm by প্রতি সময়