স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক ও নির্যাতনের মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানা পুলিশ।আবদুর রশিদ নামে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সরাইল সদর শাখায় ঋণ বিভাগে কর্মরত আছেন।
সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩)-এর ১১(গ) ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
২০১৭ সালের ১৫ জুলাই সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা ছানা খন্দকারের বড় মেয়ে সাদিয়া খন্দকারকে চার লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন একই উপজেলার অরুয়াইল গ্রামের হিম্মত আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী সাদিয়া ওপর যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালাত রশিদ। বিভিন্ন সময় তার দাবীকৃত যৌতুকের টাকা বাবার কাছ থেকে এনে দিতেন সাদিয়া। রশিদ-সাদিয়া দম্পতির দুইটি শিশু সন্তান রয়েছে।
গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর বাদী হয়ে সাদিয়া সরাইল থানায় স্বামী আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। রশিদ বর্তমানে এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে ব্যাংকের স্বপদে বহাল রয়েছেন। মামলার বাদী সাদিয়া খন্দকার ঢাকা তিতুমীর কলেজ থেকে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ হইতে অনার্স পাশ করে বর্তমানে মাস্টার্স পরীক্ষার্থী।
মামলার বাদী সাদিয়া খন্দকার জানান, ব্যাংকে ঋণ বিভাগে চাকরির সুবাদে আব্দুর রশিদ নানা অপকর্মে জড়িত। সরাইলের অনেক প্রভাবশালীকে অনৈতিকভাবে ব্যাংকের ঋণ পাইয়ে দিয়েছেন তিনি। মামলা করায় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আব্দুর রশিদের পক্ষ নিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করেছেন।
অপরদিকে গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে আব্দুর রশিদ বলেন, সাদিয়ার আচার-আচরণ একঘেয়েমি স্বভাবের। তাকে শায়েস্তা করতেই বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কোনো যৌতুক চাওয়া হয়নি। মামলা আমি আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবিলা করব।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম