কুমিল্লা -৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসন থেকে পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সাবেক আইনমন্ত্রী প্রথিতযশা রাজনীতিক, জেষ্ঠ্য আইনজীবী আবদুল মতিন খসরুর ৫টি জানাজার মধ্যে প্রথম জানাজা সকাল সাড়ে ৮ টায় ঢাকার বক্সী বাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে। দ্বিতীয় জানাজা সকাল ১০টায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে। তৃতীয় জানাজা যোহর নামাজের পর বুড়িচং আনন্দ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে। চতুর্থ জানাজা বিকাল ৪ টায় ব্রাহ্মণপাড়া ভগবান সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এবং পঞ্চম জানাজা আছর নামাজের পর মরহুমের নিজ গ্রামের বাড়ী ব্রাহ্মণপাড়া উপজলার মিরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বাদ যোহর তাঁর নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা সদরের আনন্দ পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩য় জানাজায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক আহমেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট আবুল হাসেম খান, সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আখলাক হায়দার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, মরহুমের ছোট ভাই এডভোকেট আবদুল মুমিন ফেরদৌস, মরহুমের ছেলে আবদুল মুমিন ওয়াছিফ, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট রেজাউল করিম খোকনসহ আরো অনেকে।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুল মতিন খসরু।
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এমপির প্রতি সম্মান দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট বসেনি।
আপিল বিভাগের ১ নম্বর বেঞ্চে বসার পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আজ সকালে এ সিদ্ধান্ত জানান।
আজ সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে আবদুল মতিন খসরুর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মতিন খসরু ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী ছিলেন। তিনি গত ১০ ও ১১ মার্চ দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হন। গত ১৩ মার্চ বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ১২ এপ্রিল ফল ঘোষণা করা হয় আনুষ্ঠানিকভাবে। ওই দিনই নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে। কিন্তু মতিন খসরু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাঁর আর সভাপতির চেয়ারে বসা হয়নি।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম