নিউজ পোর্টাল 'প্রতিসময়' এর শিক্ষা বিভাগের নিয়মিত লেখক কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী ও স্বনামধন্য শিশুশিক্ষা বিদ্যানিকেতন 'নজরুল মেমোরিয়াল একাডেমী'র সিনিয়র শিক্ষক মো. ফারুকুল ইসলাম প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য এবারের আয়োজনে লিখেছেন -
সামনে পরীক্ষাঃ সন্তানের পড়ালেখায় অভিভাবকের ভূমিকা
সারা দেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুরোদমে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।চলতি শিক্ষাবর্ষের সাত মাস চলে গেছে। স্কুলগুলোতে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। বলতে গেলে হাতে চার মাসই সময় রয়েছে বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য। দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় এতো বেশি মনোযোগী হতে হবে যে - ভালো ফলাফল অর্জনের জন্য ক্লাসে ও বাড়িতে পড়ালেখায় ফাঁকি দেওয়া যাবে না। তাহলে কাঙ্খিত ফলাফল আসবে না। এজন্য বাড়িতে অভিভাবকদের সন্তানের লেখাপড়ার বিষয়ে দ্বিতীয় সাময়িক ও বার্ষিক পরীক্ষাকে সামনে রেখে আগস্ট থেকে নভেম্বর এ চার মাস বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
বাড়িতে রুটিনমাফিক পড়াশোনা করাঃ
ছাত্র/ছাত্রীদের অবশ্যই বাড়িতে রুটিনমাফিক পড়াশোনা করতে হবে। কেবল স্কুলে নিয়মিত ক্লাশ করলেই হবে না। তাদের প্রতিদিনের পাঠ অবশ্যই প্রতিদিন সম্পন্ন করতে হবে। অভিভাবকরা এ ক্ষেত্রে সচেতন হবেন।
সন্তানের কাছ থেকে পড়া আদায় করতে হবেঃ
আমরা যদি আমাদের সন্তানরা যতটুকুই পড়াশোনা করুক না কেন, তা প্রতিদিন তাদের কাছ থেকে আদায় করি, তাহলে তারা মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করবে। তাতে যতটুকুই পড়ুক, ভালোভাবে পড়বে।
কোমলমতি সন্তান যেন ডিভাইসে আসক্ত না হয়ঃ
অভিভাবকদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা ছোট। ডিভাইসের প্রতি তাদের আসক্তি তৈরি হয়, এমন কোন ভূমিকা রাখবেন না। এখন তথ্য প্রযুক্তির যুগ। আপনার সন্তানের সামনে আরো সময় আছে এসব নিয়ে জ্ঞান অর্জনের। দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা ও বার্ষিক পরীক্ষাকে সামনে রেখে বাড়িতে স্কুলের সিলেবাস অনুযায়ী ও প্রতিদিনের ক্লাসে বিষয়ভিত্তিক যেসব পাঠদান দেওয়া হয়েছে এসবের আলোকে শীট তৈরি করে সন্তানকে একজন শিক্ষকের ভূমিকায় পাঠদানে ভূমিকা রাখুন।
সন্তানদের কোয়ালিটি সময় দেওয়াঃ
আমি আমার আলোচনার প্রতিটি পর্বেই উল্লেখ করি যে, আমাদের সন্তানদের কোয়ালিটি সময় দিতে হবে যাতে তারা কোনোভাবে একাকীত্ববোধ না করে। তাই যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন আমাদের সন্তানদের জন্য রুটিন মাফিক কোয়ালিটি সময় অবশ্যই দিতে হবে। পড়ার ফাঁকে অবসরে সন্তানের সঙ্গে শিক্ষনীয় বিষয় নিয়ে গল্প আড্ডায় সময় কাটান। এছাড়া অবসরে পরিশ্রম, অধ্যবসায়,ধর্মীয় মূল্যবোধ এসব নিয়েও আলোচনা করে সময় কাটাবেন।
মনে রাখবেন, সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে পড়ালেখার প্রতিটি পদক্ষেপে অভিভাবকদের থাকতে হবে বিচক্ষণতা ও দায়িত্বশীলতা ছাপ।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম