কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নবগ্রামের পেয়ার আহমদের ছেলে ইমরান হোসেন (২৭) পেশাগত কারণে সিলেট থাকেন। আর স্ত্রী লাকি বেগম (২৪) থাকেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্বামীর বাড়িতে। সিলেটের ইয়াছিন আরাফাত মান্না (১৭) নামের এক কিশোরকে কৌশলে কুমিল্লায় এনে আটকে রাখার অপরাধে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে ইমরান আর লাকি এখন কারাগারে।

ইয়াছিন আরাফাত মুন্না সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার গৌরি শংকর গ্রামের তৈমুছ আলীর ছেলে। তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল বেশি দামে বিক্রি করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে  ইমরান তাকে কুমিল্লায় নিয়ে আসে এবং স্ত্রী লাকির সহায়তায় লাকসামে একটি বাড়িতে আটকে রাখে।

শুক্রবার (৪ডিসেম্বর) ভোর রাতে কুমিল্লার লাকসাম থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই কিশোরকে উদ্ধার করে সিলেটের জালালাবাদ থানা পুলিশ।  শুক্রবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে জামিন নামঞ্জুর করে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানায়, ইয়াছিন আরাফাত মুন্নার সিলেট-হ-১২-২৯৮০ নম্বরের একটি মোটরসাইকেল ছিল। পরিবারের কাউকে না জানিয়ে মোটরসাইকেল বিক্রি করতে চায় সে। গত ২৬ নভেম্বর বেশি দামে মোটরসাইকেল বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে মুন্নাকে কৌশলে সিলেট থেকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিয়ে যান ইমরান হোসেন। সেখানে তার মোটরসাইকেল ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন ইমরান। এতে ক্ষুব্ধ হয় মুন্না। সে নিজের মোটরসাইকেল বিক্রির টাকা চাইলে ইমরান তার স্ত্রী লাকিকে সাথে নিয়ে কুমিল্লার লাকসাম বাজারের পশ্চিমে একটি দোতলা ভবনের কক্ষে মুন্নাকে আটকে রাখে। পরে মুন্নার কাছে আরও টাকা দাবি করেন ইমরান ও লাকি।

সিলেট নগরীর জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিন মিয়া জানান, এ ঘটনায় মুন্নার বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মুন্নার অবস্থান শনাক্ত করে। পরে লাকসাম থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার এবং ইমরান ও লাকিকে গ্রেফতার করা হয়।

# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিন।এছাড়া protisomoy ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন ও বেলবাটন ক্লিক করে নতুন নতুন ভিডিও নিউজ পেতে অ্যাকটিভ থাকুন।