কুমিল্লার সাধারণ মানুষের টাকায় পরিচালিত ডায়াবেটিক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেয়ার লক্ষ্যে দিন দিন আধুনিক চিকিৎসা সরাঞ্জাম ও সুবিধা বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা ডায়াবেটিক সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি বলেছেন, সেবার মানসিকতা নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে গণমানুষের প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতাল।এই করোনা দূর্যোগেও কুমিল্লার মানুষকে সর্বাত্মক চিকিৎসা সেবা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতাল একটি জনকল্যাণকর প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা ডায়াবেটিক সমিতির ৩৩তম বার্ষিক সাধারন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি মিসেস মেহেরুন্নেছা বাহার।
এমপি হাজী বাহার আরো বলেন, কুমিল্লার এই ডায়াবেটিক হাসপাতালে রোগীদের সুবিধা আরও বাড়াতে বর্তমান সময়ে চাহিদা অনুযায়ী নতুন বিভাগ খোলা ,প্রযুক্তির ব্যবহারসহ অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে কর্তব্যরত ডাক্তার-নার্স,কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ডায়াবেটিক সমিতির সকল সদস্যদেরকে প্রতিষ্ঠানের প্রতি আন্তরিকতা আরো বাড়াতে হবে। সেবার মানসিকতা ও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের বিষয়টি লালন করতে হবে। এই প্রতিষ্ঠানে সাবেক সভাপতি ডা.ওয়ালি উল্লাহ বিনা পয়সার মানুষের চোখের অপারেশন করিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে। মানব সেবার প্রতিষ্ঠানের জন্য এ রকম আরো অনেকেই কাজ করেছেন।এই প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট কেউ অন্য প্রতিষ্ঠানে জড়িত থাকলেও এ প্রতিষ্ঠানের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। ফান্ড ডেভেলপমেন্ট করতে সবাইকে কাজ করতে হবে।
কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতালের মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন কুমিল্লা ডায়াবেটিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মীর্জা মো.কোরেশী। এসময় সমিতির সহ-সভাপতি ডা. মো.আবদুল কুদ্দুস আখন্দ ,ডা.মো.শহীদুল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ প্রবাল শেখর মজুমদার মিঠুসহ সমিতির অধিকাংশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বার্ষিক প্রতিবেদনে সমিতির সাধারন সম্পাদক মীর্জা মো. কোরেশী উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালে জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত গত এক বছরে কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতাল থেকে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৩০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছেন। গরীব রোগীদের জন্য নির্ধারিত একটি বেডে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মিসেস মেহেরুন্নেছা বাহারের অগাধ মমতা ও অপরীসীম দায়িত্ববোধ এবং সুযোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠানটি দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে। করোনা মহামারীতেও সভাপতির কর্মস্পৃহা সমিতির সকলের মাঝে প্রেরনা জুগিয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে মিসেস মেহেরুন্নেছা বাহার বলেন, কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতালকে আধুনিক ও যুগযোপযোগী করতে সকলের সহযোগীতা চাই। এই করোনা দুর্যোগে আমাদের সাহস ও শক্তি জুগিয়েছেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। তিনি ঝুঁকি নিয়ে কুমিল্লার মানুষের পাশে ছিলেন।কখনো খাদ্য নিয়ে, কখনো চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে। আপনারা যে যেই মতেরই হোন, অন্তত কুমিল্লার উন্নয়নে ওনার পাশে থাকুন।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিন। এছাড়া protisomoy ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন ও বেলবাটন ক্লিক করে নতুন নতুন ভিডিও নিউজ পেতে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম