প্রতিটি মানুষকে নিজের হার্টের প্রতি যত্নশীল হওয়ার আহবান জানিয়ে কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন হার্ট ভালো থাকলে সব ভালো থাকবে। ধূমপান, অ্যালকোহল এবং যেসব খাবার হার্টের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে এসব বর্জন করে হৃদবান্ধব জীবনচর্চার প্রতি খেয়ালি হতে হবে।

বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে হার্টকেয়ার ফাউন্ডেশন, কুমিল্লার আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী বাহার এসব কথা বলেন।

প্রতিবছর হার্টকেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিশ্ব হার্ট দিবস ব্যাপক আকারে পালন করা হলেও এবারে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও জুমের মাধ্যমে অনলাইনে অনুষ্ঠানটি করায় ডা. তৃপ্তীশ চন্দ্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে এমপি হাজী বাহার আরও বলেন, ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে সরাসরি এ অনুষ্ঠানটি বিশ্বের সকল ফেসবুক ব্যবহারকারি দেখার ও হার্ট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শোনার সুযোগ পাচ্ছে। করোনা মহামারিতে আমরা অনেক বিশিষ্টজনকে হারিয়েছি। যাদের অনেকের হার্টে সমস্যা ছিল। তাই আমি বলবো নিয়মিত ব্যায়াম, কায়িক পরিশ্রম করাসহ আমাদের জীবনধারার পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে ঘাতকব্যাধি হৃদরোগ প্রতিরোধের দায়িত্বটা পরিবারের ছোটবড় সকলকে নিতে হবে।’

‘হৃদরোগের বিরুদ্ধে হৃদয় দিয়ে লড়ুন’- এবারে এই প্রতিপ্রাদ্যকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব হার্ট দিবসের এ আলোচনা জুম প্রযুক্তির মাধ্যমে রাত ৮টা ৩০মিনিটে হার্টকেয়ার ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেইজ থেকে সরাসরি প্রচার করা হয়।
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন হার্টকেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক ডা. তৃপ্তীশ চন্দ্র ঘোষ। তিনি অনুষ্ঠানের মূল আলোচকও ছিলেন। অনুষ্ঠানে হার্ট কেয়ার ফাউন্ডেশন কুমিল্লার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক ডা. তৃপ্তীশ চন্দ্র ঘোষের লেখা ‘হার্ট ফেইলিউর’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।

হার্টকেয়ার ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি ডা. মল্লিকা বিশ্বাসের সঞ্চালনায় সরাসরি এ অনুষ্ঠানের আলোচনায় যুক্ত হোন বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর এ কে এম মহিবুল্লাহ, মহাসচিব প্রফেসর আব্দুল্লাহ আল শাফী মজুমদার, বাংলাদেশ হার্ট ফেইলিউর এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, মহাসচিব প্রফেসর হারিসুল হক, কুমিল্লা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জেড এম মিজানুর রহমান।

সভাপতি ও মূল আলোচকের বক্তব্যে ডা. তৃপ্তীশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, হৃদরোগ এবং ষ্ট্রোক বর্তমান বিশ্বে মৃত্যুর একনম্বর কারণ। হার্ট অ্যাটাক ও ষ্ট্রোক প্রতিরোধের ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরলের ভারসাম্যহীনতা, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, মদ্যপান ও মানসিক দু:শ্চিন্তাসমূহ নিয়ন্ত্রন করতে পারলেই রিস্কের মাত্রা অনেকাংশে কমে যাবে।
তিনি করোনাকালে হার্টের যত্নের বিষয় তুলে ধরে আরও বলেন, এই ভয়াবহ করোনাকালে আমাদের প্রত্যেকের হার্টকে আরও বেশী শক্তিশালী করতে হবে।হার্টকে রোগমুক্ত রাখতে হবে। কারণ একটি রোগমুক্ত, শক্তিশালী হার্ট থাকলেই এই ভয়াবহ করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে আমরা হৃদয় দিয়ে লড়াই করতে পারবো। করোনা প্রতিরোধে ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আর যতদিন ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না, ততদিন “মাস্কই ভ্যাকসিন হিসেবে মনে করতে হবে।

।#দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে protisomoy ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে এবং protisomoy news ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে অ্যাকটিভ থাকুন।