ড্রেজার সিন্ডিকেট, গোমতীর মাটি ও বালু লুট, অবৈধ ইটভাটা সিন্ডিকেটের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ এনে কুমিল্লার মুরাদনগরে ইউএনও সিফাত উদ্দিনের অপসারণ দাবী করেছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, মুরাদনগরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর থেকেই সিফাত উদ্দিন আত্মগোপনে থাকা স্থানীয় সাবেক এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার এবং তার ছেলে অপসারিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আহসানুল আলম সরকার কিশোরের সাথে তাল মিলিয়ে নানা অনিয়ম দুর্নীতি করেছেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইউএনও সিফাত উদ্দিন বোল পাল্টিয়ে নিজেকে বিএনপি পরিবারের সন্তান হিসেবে জাহির করছেন।
অথচ, চলতি বছরের ৮ এপ্রিল মুরাদনগরে যোগদান করে ইউএনও সিফাত উদ্দিন শেখ মুজিবের ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করে নিজেকে কট্টর আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান দাবি করেন।
স্থানীয়দের দাবি, যোগদানের চার মাসের মধ্যে ইউএনও সিফাত উদ্দিন কৃষি জমিতে অবৈধ ড্রেজিং, আশ্রয়ন প্রকল্প, নদীর মাটি ও বালু লুট, ইটভাটা, খাল খননের মাটি বিক্রি, ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রকল্প থেকে সুবিধা গ্রহণ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে ফাইল স্বাক্ষরে কমিশন সুবিধা নিয়েছেন।
সম্প্রতিক সময়েও ওই কর্মকর্তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা লোকমুখে চাউর হচ্ছে।
মুরাদনগর উপজেলার দক্ষিণ ত্রিশ এলাকায় টানা পাঁচ মাস গোমতী নদী থেকে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করেছেন ছাত্রলীগ নেতা সফিক তুহিন সিন্ডিকেট।
শফিক তুহিনের দাবি, ইউএনও সিফাত উদ্দিনকে ম্যানেজ করেই আমরা গোমতী নদী থেকে বালু উত্তোলন করছি।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইউএনও সিফাত উদ্দিন বলেন, ড্রেজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমি সোচ্চার। অনেক ড্রেজার বন্ধ করে দিয়েছি। সাবেক এমপি এবং ওনার ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোরের সাথে আমার কোন সম্পর্ক ছিল না। আমি সরকারি বিধি মোতাবেক কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ফাইল স্বাক্ষরে কমিশন আদায়ের বিষয়টি সঠিক নয়।
Last Updated on September 7, 2024 1:07 pm by প্রতি সময়