শারীরিক সমস্যার কারণ দেখিয়ে মাদ্রাসায় অনিয়মিত থেকেও নিয়মিত বেতনভাতা পাচ্ছেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর মোহাম্মদিয়া আলিম মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক ফোরকান মিয়া। তবে মাছের ব্যবসায় ঠিকই সময় দিচ্ছেন। কেবল তাই নয়, তার স্ত্রীও কমিটির রেজুলেশন ছাড়া মাদরাসায় ক্লাস নিচ্ছেন।
জানা যায়, ১৯৮৮ সালে আকুবপুর মোহাম্মদিয়া আলিম মাদ্রাসার মাধ্যমিক শাখার কৃষি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন ফোরকান মিয়া। গত ৫ বছর তিনি মাদ্রাসায় নিয়মিত উপস্থিত হন না। বরং এ সময়টি নিজের পুকুরে চাষ করা মাছের ব্যবসায় দিচ্ছেন। তার স্ত্রী শারমিন আক্তারও বিধিবহির্ভূতভাবে স্বামীর ক্লাশ নিচ্ছেন। অপরদিকে সপ্তাহে একদিন এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরের জায়গাটি পূর্ণ করেন ফোরকান মিয়া।
এ বিষয়ে শিক্ষক ফোরকান মিয়া বলেন, মাঝে মধ্যে ব্যবসার কাজে এদিক সেদিক যাই। তখন তিন-চার দিন মাদ্রাসায় আসতে পারিনা। পরে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করি। চার বছর যাবত শরীরে ইউরিন সমস্যা আছে। এই বেতনে চলতে পারিনা। তাই মাছের ব্যবসার কাজে সময় দেই।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান বলেন, সহকারি শিক্ষক ফোরকান মিয়া মাদরাসায় অনিয়তি। অনেকগুলো নোটিশ করেছি। কিন্তু কোন সুরাহ হয়নি। সে অসুস্থতার কথা বলে মাদ্রাসায় নিয়মিত আসে না। শুনেছি মাছের ব্যবসা করেন। এছাড়াও ফোরকান মিয়ার স্ত্রী ক্লাশ নেওয়ার বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটির দ্বারা রেজুলেশন করা নয়।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিউল আলম তালুকদার জানান, ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা-বানিজ্য করার কোন নিয়ম নেই। প্রক্সি ক্লাসেরও কোন বিধান নেই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Last Updated on September 26, 2024 10:17 pm by প্রতি সময়