কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণকান্ডের রেশ না কাটতেই ওই উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকায় মাদককাণ্ডে একই পরিবারের দুই নারীসহ তিন জন গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন করইবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন রুবি আক্তার, তার ছেলে রাসেল ও মেয়ে জোনাকী। গুরুতর আহত অবস্থায় রুবি আক্তারের আরেক মেয়ে রুমা আক্তারকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই পরিবারের সবাই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এলাকাবাসীর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও তারা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। এ কারণে এলাকার ক্ষুব্ধ জনতা তাদের গণপিটুনি দেয়।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে স্থানীয় লোকজন পিটিয়ে ও কুপিয়ে তিন জনকে মেরে ফেলেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, এভাবে আইন হাতে তুলে নিয়ে মেরে ফেলার পেছনে অন্য কোন কারণ আছে কিনা।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলাকায় মাদক ব্যবসা বন্ধ না করায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে রুবি আক্তারের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় বাড়ির দরজা জানালা ভাঙচুর করা হয় এবং তাদেরকে ঘর থেকে টেনে হেঁচড়ে বের করে গণপিটুনি দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় রুবি আক্তারের মেয়ে রুমা আক্তারকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
খবর পেয়ে বাঙ্গরা থানার ওসি মাহফুজুর রহমান ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তিনি এখানকার উত্তেজিত পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, ‘কেউ অপরাধ করলে তাকে ধরে পুলিশকে খবর দিবেন, না হয় থানায় সোপর্দ করবেন।কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। গণপিটুনির নামে যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
মুরাদনগরের সচেতন মহল জানান, দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার মুরাদনগরের দুই থানা এলাকায় আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি ঘটেছে।
Last Updated on July 3, 2025 8:18 pm by প্রতি সময়