নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য দালালের সঙ্গে চুক্তি করেন সাত রোহিঙ্গা।সঙ্গে রোহিঙ্গাদের তিন শিশু।কিন্তু দালালরা তাদের সমুদ্রে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নামিয়ে দেন চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানার ইছাখালী ইউনিয়নের চরশরৎ এলাকায়।
দালালের সঙ্গে চুক্তি করে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় নৌকা ভাড়া করে এসব রোহিঙ্গরা।চরশরৎ এলাকায় তাদের নামিয়ে দেওয়ার পর রোহিঙ্গারা সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের জেরার মুখে পড়েন। একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
রবিবার (৩০ মে) দিবাগত মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয় সাত রোহিঙ্গা ও তাদের তিন শিশুকে।এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা তিন দালালকেও গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া রোহিঙ্গারা হলেন- নূরজাহান বেগম (২০), রেহানা আক্তার (১৯), আছিয়া বেগম (১৮), নূর খাইয়াছ (২৫), মিনারা বেগম (২০), মনিয়া বেগম (২০), কহিনা আক্তার (৩২), জিসান (১০), জান্নাতুল নাঈমা (৮) ও জেসমিন আক্তার (১২)।
গ্রেফতারকৃত দালাল চক্রের সদস্যরা হলেন- নোয়াখালীর সুবর্ণচরের বেলাল হোসেন (২৮), একই এলাকার মো. জুয়েল (২০) ও সন্দ্বীপের দিদারুল আলম (২১)।
পুলিশ জানায়, দালালরা রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে চরশরৎ এলাকায় নামিয়ে দেয়। তারা প্রত্যেক রোহিঙ্গার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নেয়।পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা এসব বিষয় স্বীকার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর হোসেন মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গ্রেফতার হওয়া দালালদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে ও প্রাপ্তবয়স্ক সাত রোহিঙ্গা নারীর বিরুদ্ধে বৈদেশিক নাগরিকতা-সম্পর্কিত আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on May 31, 2021 9:42 pm by প্রতি সময়