ভোলার তজুমদ্দিনে শশীগঞ্জ স্লুইজঘাটে পল্টুনের সাথে সংযোগ সড়ক না থাকায় তজুমদ্দিন থেকে রাজধানী ঢাকা, পাশ্ববর্তী উপজেলা মনপুরাসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে নদীপথে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রীর দৃশ্যমান ভোগান্তিতে নির্বিকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন শশীগঞ্জ স্লুইজঘাটটি বিআইডব্লিউটিএ ইজারা দিলেও যাত্রীদের উঠা-নামা করার জন্য ভালো কোন পল্টুন ছিলনা এখানে। বর্তমানে ভোলা-৩ আসনের এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রচেষ্টা বিআইডব্লিউটিএ চলতি বছরের প্রথম দিকে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এস কে এন্টারন্যাশনাল ঢাকা একটি অত্যাধুনিক পল্টুন নির্মাণ করেন। কিন্তু পল্টুনটির সাথে সংযোগ সড়ক না থাকায় যাত্রীরা সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যে কারণে এই রুটে চলাচলকারী যাত্রী পড়ছেন ভোগান্তিতে।
নদীতে জোয়ারের সময় হাটু পানি দিয়ে যাত্রীদের উঠা নামা করতে হয় পল্টুনে। পল্টনে উঠার বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় যাত্রীদের এই ভোগান্তি প্রতিদিনের। এমন অবস্থায় সবচেয়ে বেশি দূর্ভোগের শিকার হয়ে ভোগান্তিতে পড়েন নারী, শিশু ও বয়স্ক যাত্রীরা। বিআইডব্লিউটিএ পল্টুনের সাথে একটি মাটির সড়ক করলেও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের চাপে সেটিও নদীর গর্ভে চলে যায়। বর্তমানে সেখানে সড়ক না থাকায় রাজধানী ঢাকা, মনপুরা, চরমোজাম্মেল, চর জহির উদ্দিন, চর নাসরিন, চর কলাতলীসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে যাতায়াতকারী শত শত যাত্রী প্রতিদিন পড়ছেন অবর্ণনীয় দূর্ভোগে।
এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, বিচ্ছিন্ন উপজেলা মনপুরার সাথে ভোলা জেলা সদরের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম শশীগঞ্জ স্লুইজঘাটটি। বর্তমানে এর সংযোগ সড়কটি না থাকায় এই রুটে চলাচল করা যাত্রীদের প্রতিদিন ভোগান্তির শেষ নেই। দ্রুত সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংগযোগ সড়কের ব্যবস্থা না করতে পারলে নব-নির্মিত এই পল্টুনটি অকেজো হয়ে পড়বে।
ঢাকাগামী যাত্রীরা বলেন, শশীগঞ্জ স্লুইজঘাটের পল্টুনের সাথে সড়ক না থাকায় আমরা বেশি টাকা ব্যয় করে লালমোহন উপজেলা মঙ্গল সিকদার ঘাট ও বোরহানউদ্দিনের মির্জাকালু ঘাট দিয়ে যেতে হয়। এতে আমাদের একদিকে সময় নষ্ট হয় অন্যদিকে অনেক বেশি টাকা খরচ হয়। তাই আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানাচ্ছি দ্রুত সময়ে এই সংযোগ সড়কটি নির্মাণের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘাট ইজারাদার মোঃ সবুজ তালুকদার বলেন, আমাদের মাননীয় এমপি আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রচেস্টা বিআইডব্লিউটিএ একটি অত্যাধুনিক পল্টুন নির্মাণ করে। যাত্রীদের দূর্ভোগের বিয়টি মাথায় রেখে একটি মাটির সড়ক নির্মার্ণ করে কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময় জোয়ারের পানিতে মাটির রাস্তাটি নদীতে চলে যায়।
বিআইডব্লিউটিএ এর সহকারী পরিচালক ও ভোলা বন্দর কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র অর্থায়নে পল্টুনটি নির্মার্ণের পর পল্টুন ও বেড়িবাঁধের মাঝে একটি মাটির সড়ক নির্মাণ করা হয়। পরে সেটি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময় জোয়ারের পানির চাপে নদীতে চলে যায়। আগামী বছর সংযোগ সড়কটি আরসিসি’র ঢালাই দিয়ে নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on June 23, 2021 9:13 pm by প্রতি সময়