প্রাণঘাতি মহামারি করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব।এরমেধ্য দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপট শুরু হয়েছে। ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে দৃঢ় মনোবল নিয়ে ঘরেই অভিভাবকের নির্দেশ অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের রুটিন মাফিক লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হবে। এখন ঘরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আর অভিভাবকরা এই ঘরের শিক্ষক। এই সময়ে অভিভাবকদের সন্তানের লেখাপড়ার প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে এবং তাদের পেছনে কোয়ালিটি সময় ব্যয় করতে হবে।
করোনাকালীন পড়ালেখার বিষয় নিয়ে লিখেছেন ‘প্রতিসময়’ শিক্ষা-সাহিত্য বিভাগের প্রতিবেদক কুমিল্লা নগরীর নানুয়াদিঘী এলাকায় অবস্থিত নজরুল মেমোরিয়াল একাডেমীর সিনিয়র সহকারী শিক্ষক রোটারিয়ান মো. ফারুকুল ইসলাম।
করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবে বিশ্ব আজ স্থবির। অন্যান্য বিষয়ের সাথে স্থবির শিক্ষাব্যবস্থাও। করোনার বর্তমান পরিস্থিতি, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, শিক্ষার্থীরাই জাতির ভবিষ্যৎ। আর ভবিষ্যতে তাদের মধ্য থেকেই আমরা পাব একেকজন বিজ্ঞানী, ডাক্তার, ইণ্ঞ্জিনিয়ার, দেশপ্রেমিক, রাজনীতিবিদ ইত্যাদি। এজন্য শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষরূপে গড়ে তুলতে হবে। আলোকিত মানুষ হতে হলে এই কঠিন দুঃসময়েও দৃঢ় মনোবল নিয়ে অধ্যবসায়ী ও সময়ানুবর্তী হতে হবে। চলমান দীর্ঘ ছুটিকালীন সময়ে কিন্তু লেখাপড়ার অভ্যেস থেকে ছুটি নেওয়া যাবে না।
আমরা যারা নজরুল মেমোরিয়াল একাডেমীতে শিক্ষকতা করছি, আমাদের সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের জন্য বছরের প্রথম থেকেই বিষয়ভিত্তিক সাপ্তাহিক শীট দিচ্ছি। আমরা এপ্রিল মাসে ছাত্র/ছাত্রীদের ১ম সাময়িক পরীক্ষা নিয়েছি। পরীক্ষার খাতায় তাদের ভুলভ্রান্তিগুলো দেখিয়ে খাতাগুলো বাসায় দিয়েছি যাতে তারা সংশোধিত হতে পারে। তারই ধারাবাহিকতায় কিছু দিনের মধ্যে ২য় সাময়িক পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য তাদেরকে সব বিষয়ের শীট দেয়া হচ্ছে।
আর করোনাকালীন পড়ালেখার এই যে পদ্ধতি চলছে এটাতে অভিভাবকরা বাসায় শিক্ষকের ভূমিকা পালন করবেন। বাসায় বাবা বলুল আর মা-ই বলুন, সন্তানদের লেখাপড়ার প্রতি যত্নশীল হলে সন্তানরা লেখাপড়ায় ভালো হবেই। তাই অভিভাবকগণ এই করোনাকালীন সময়ে সন্তানের লেখাপড়ার প্রতি অবশ্যই মনোযোগী হবেন।
ঘরে আপনার সন্তান সব সময় পাঠ্যবইয়ের সব বিষয়ে সমানভাবে পারদর্শী নাও হতে পারে। তাই বার বার চেষ্টার মাধ্যমে দুর্বল অধ্যায়গুলো অবশ্যই আয়ত্বে আনার চেষ্টা করতে হবে। এদিকে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে।
আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে-আপনার সন্তানরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুষ্টিকর খাবার খায় সেই বিষয়টিই পরিবারের বড়দের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। কেননা শরীর সুস্থ না থাকলে মনও সুস্থ থাকবে না। শরীর ও মন সুস্থ থাকলেই পরিপূর্ণ সুস্থতা থাকবে।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on July 5, 2021 9:26 pm by প্রতি সময়