[ঘটনার ছায়া তদন্তে র্যাব সিআইডি পিবিআই]" />
ফ্লিমি স্টাইলে গুলি চালিয়ে নিজ কার্যালয়ে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার রাজনৈতিক সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যাকান্ডের এজহার নামীয় ১১ আসামীর ছয় জন অত্যন্ত দুর্ধর্ষ প্রকৃতির। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, হত্যা, মাদক, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মামলা রয়েছে। দেশব্যাপি আলোচিত এ ডাবল মার্ডারের ঘটনা পুলিশের পাশাপাশি ছাড়া তদন্ত করছে র্যাব-সিআইডি ও পিবিআই।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র এবং ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি সৈয়দ মো. সোহেল হরিপদ সাহা হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজহার নামীয় ১১ আসামীর পাঁচ জনই একাধিক মামলার আসামী।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামি সুজানগর বউবাজার এলাকার বাসিন্দা শাহ আলমের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, পুলিশের ওপর হামলা, মাদক, ছিনতাই, জবরদখল, মারামারিসহ অন্তত ছয়টি মামলা আছে। ১০ বছর আগে শাহ আলমের বাবা জানু মিয়াকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার পর তার বাবার হত্যাকারীকে তিনি প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ আছে। ২০১৫ সালে মাদক ব্যবসা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তার গোলাগুলি হয়। ওই সময় তিনি জখম হন।মামলার দ্বিতীয় আসামি নবগ্রাম এলাকার সোহেল ওরফে ‘জেল সোহেল’ এর বিরুদ্ধে মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। মামলার তৃতীয় আসামি সুজানগর পানির ট্যাংকি এলাকার বাসিন্দা মো. সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধও অস্ত্রবাজি, জবরদখল ও মাদকের মামলা রয়েছে। সুমন ও সাজন মাদক মামলার আসামি।
এ পর্যন্ত এজহার নামীয় দুই আসামী র্যাব ও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।
র্যাব-১১ কুমিল্লার অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একটা ছায়া তদন্ত করছি। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। এগুলো বিশ্লেষন করছি। আসামি গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
উল্লেখ্য,২২ নভেম্বর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর মো. সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় আরও কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন।
Last Updated on November 26, 2021 9:48 pm by প্রতি সময়