কুমিল্লার লাকসামে প্রবাসী স্বামীকে দায়ী করে আত্মহত্যা করেছেন নাজমা বেগম (২৮) নামে দুই সন্তানের জননী। আত্মহত্যার সময় তার চার বয়সী পুত্র সন্তান মায়ের মৃত্যুদৃশ্য দেখে চিৎকার করলে আশপাশের মানুষ ছুটে এসে ঝুলন্ত নাজমাকে বাঁচাতে পারেনি।
রবিবার রাতে স্থানীয়দের ফোন পেয়ে লাকসাম উপজেলা পরিষদের উত্তর পাশে একটি চারতলা ভবনের নিচতলার ঘর থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নাজমা বেগম কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার সরেসপুর ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের প্রাবাসী নাছির উদ্দিনের স্ত্রী।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন ভূইয়া সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, লাকসাম পৌরশহরে পশ্চিমগাঁও এলাকায় আবদুল মতিন প্রফেসরের ৪তলা ভবনের নিচ তলায় ভাড়া থাকতেন নাজমা আক্তার। দুই দিন আগে বড় ছেলে নাহিদ (৭) নানার বাড়ির মনোহরগঞ্জে যায়। রবিবার ছোট ছেলে নাফিজকে (৪) সঙ্গে নিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে শোয়ার ঘরে যান নাজমা। পরে নাজমা আক্তার তার স্বামী নাছির উদ্দীনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে চারবছর বয়সী ছেলে নাফিজের সামনে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন নাজমা। এ সময় নাফিজের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে নাজমাকে ঝুলন্ত দেখতে পায়।
নাজমা আত্মহত্যার আগে একটি চিরকুট লিখে গেছেন- ‘আমি বাঁচতে চাই না, আমি মরতেই চাই, আমার মৃত্যুর জন্য আমার স্বামীই দায়ী’।
খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে লাকসাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সোমবার সকালে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
Last Updated on January 17, 2022 5:45 pm by প্রতি সময়