# জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের অনুষ্ঠানে বক্তারা #" />
বাঙালির অস্তিত্বে মিশে আছেন নোবেল বিজয়ী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল এই নক্ষত্র বিশ্বের দরবারে বাঙালিদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখিয়েছেন।তিনি ছিলেন বাঙালি সংস্কৃতি ও অনুপ্রেরণার বাতিঘর। রবীন্দ্রনাথের গানের সুর আবহমান বাংলার কৃষ্টি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জাতীয় সত্ত্বার প্রতিচ্ছবি।
বক্তারা আরও বলেন,কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্ম, সঙ্গীত, জীবনদর্শন, মানবতা, ভাবনা সবকিছুই আদর্শ বাঙালি হিসেবে টিকে থাকার অনুপ্রেরণা দেয়। কবিগুরুর দার্শনিক চিন্তাসমৃদ্ধ প্রবন্ধ, সমাজ ও রাষ্ট্রনীতি এবং গভীর জীবনবাদী চিন্তা আগামীর পথচলা করে তুলবে সমৃদ্ধ। আর তাই নতুন প্রজন্মের কাছে রবীন্দ্র চর্চার ধারাকে তুলে ধরতে হবে। রবীন্দ্রনাথ চর্চার মাধ্যমেই বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশের পথ উন্মুক্ত হতে পারে।
রবিবার (৮ মে- ২৫শে বৈশাখ) সন্ধ্যা ৭টায় কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ মিলনায়তনে জাতীয় বরীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, কুমিল্লা জেলা শাখার আয়োজনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি ডা. মল্লিকা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জামাল নাছের, অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান ও অধ্যাপক সমীর মজুমদার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রবীন্দ্রনাথ স্মরণে কবিতা আবৃত্তি করেন হার্টকেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক ডা. তৃপ্তীশ চন্দ্র ঘোষ। এসময় তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য কর্ম নিয়েও আলোকপাত করেন।
আলোচনা পর্বে ডা. মৃণাল কান্তি ঢালি ‘বিশ্বকোষে চিরন্তন ধারায় রবীন্দ্রনাথ’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. মল্লিকা বিশ্বাস বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি যুগে যু্গে প্রেরণা যুগিয়েছে। সৃষ্টিশীলতার সমান্তরালে তিনি ধর্ম, দর্শন, রাজনীতি ও সমাজভাবনা সমানভাবেই চালিয়ে গেছেন। বাঙালির প্রাণের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শিল্প সাহিত্যের প্রতিটি ধারায় তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি বাংলা সাংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে।
বক্তব্য শেষে ডা.মল্লিকা বিশ্বাস কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে লেখা স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন।
আলোচনা সভায় উপস্থাপনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিমল আইচ।
আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় জাতীয় বরীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, কুমিল্লা জেলা শাখার শিল্পীরা।
সংগঠনের প্রবীণ সদস্য মিতা পালের পরিচালনায় ও দেবযানী পালের সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক পর্ব ‘আলোকচন্দনলেখা’য় সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিমল আইচ, মল্লিকা বিশ্বাস, রীপা দত্ত, নিলীমা দত্ত, বন্যা দে, নাসিমা আক্তার রত্না, গৌতম দাস, রঞ্জন পাল, সংগীকা কর, নেহা ঘোষ, জ্যোতি সূত্রধর, মৈত্রী দাস গুপ্ত, চৈতী সূত্রধর, দীপশিখা দাস, চৈতী মোদক, আলপনা দাস, প্রাপ্তি, পুনা, প্রিয়ন্তী, রিয়া, আদ্রিতা, অদিতি, আঁচল, প্রতিষ্ঠা, গায়েত্রী, চিত্রা, দিবা, দিশা, জয়ীতা, ধ্রুব, শুভজিত, মনীষা, নোভা, বৈশাখী, পুষ্পিতা, শতাব্দী, শ্রাবন্তী, পায়েল, প্রজ্ঞা, অতশী, তনুশ্রী, জয়িতা, তাহলীল, সপ্তর্ষি, নিকিতা, ইউসরা, অনন্যা, শ্রেয়সী, অর্চিশা, অর্পিতা, অলোক, অভিময়, অর্ঘ্য, প্রাঞ্জল, আদর ও শান্তনু।
অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
গৌতম দাস ও জাহিদুর রহমান মামুনের কোরিওগ্রাফিতে নৃত্য পরিবেশন করে প্রিয়ন্তী, রিয়া ও শুভার্থী।
যন্ত্রসঙ্গীতে ছিলেন জ্যোতি সূত্রধর ও সুমন রায়।
এদিকে রবিবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি ডা. মল্লিকা বিশ্বাসের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পন করে ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
Last Updated on May 9, 2022 12:18 am by প্রতি সময়