অর্ধশতাধিক কেজি গাঁজার চালান আটক করেছে রাজশাহী র্যাব-৫ এর একটি দল। কুমিল্লা থেকে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো গাঁজার চালানো প্রেরক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন মেয়রের নাম। তবে র্যাব বলছে এটা মাদক কারবারিদের কৌশল।
রাজশাহীতে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়ি থেকে ৫১ কেজি ৯০০ গ্রাম গাঁজার একটি চালান জব্দ করা হয়েছে। সোমবার (৩১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশেষ অভিযানে চালিয়ে র্যাব-৫ এর একটি দল গাঁজাগুলো জব্দ করে।
কাঠের খাটের মধ্যে করে বিশেষ কায়দায় গাঁজাগুলো পাঠায় হুমায়ন কবির নামের এক ব্যক্তি। যদিও প্রেরক হিসেবে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়রের কথা লেখা হয়েছে। ১৮টি প্যাকেটে করে গাঁজাগুলো কুমিল্লা থেকে রাজশাহী আসে সুন্দরবন কুয়িার সার্ভিসের মাধ্যমে। রাজশাহীর জনৈক মুকতুল হোসেন নামের এক ব্যক্তির ঠিকানায় বিভিন্ন মালামালের সাথে গাঁজাগুলো পাঠানো হয়। প্যাকেটের গায়ে প্রাপকের মোবাইল হিসাবে ০১৯২৭৯৮৫৯৮৮ নম্বরটি লেখা ছিল। ওই চালানে খাটের সাথে ডাইনিং টেবিল, ছয়টি কাঠের চেয়ারও রয়েছে।
ওই অভিযানে র্যাব ছয়জনকে হাতেনাতে আটক করে র্যাব। আটকৃতরা হলো- রাজশাহীরর পবা উপজেলার দুয়ারী গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে দুলাল (৩০), তানোরের দেউরাতলা গ্রামের ফজর আলীর ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (২৪), একই উপজেলার সেদায়ের এলাকার মৃত আফসার আলীর ছেলে বাদশা (৩২), সিধাইড় গ্রামের মেরাজ উদ্দিনের ছেলে সোহান আলী (২১), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার থানার বেলতলি এলাকার সুলতান আহমেদের ছেলে মুকতুল হোসেন (৩২) এবং একই থানার মাদলা এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে বাপ্পি (৩০)। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
র্যাব রাজশাহীর মিডিয়া সেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটিএম মাইনুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লার মেয়রের রেফারেন্স ব্যবহার করেছে মাদক কারবারিরা। তারা এটিকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। তারপরেও আমরা বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু গণমাধ্যমকে জানান, ‘আপনার কাছেই বিষয়টা শুনলাম। কে পাঠিয়েছে সেটা তো বলতে পারবো না। কুরিয়ার সার্ভিস তো আর যাচাই করে না, বুকিংয়ের সময় যে কেউ যে কারও নাম রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।যারা গ্রেফতার হয়েছে তারাই এ বিষয়ে বলতে পারবে।’
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস, কুমিল্লা শাখার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম অপু ও ধর্মপুর শাখার বুকিং ইনচার্জ জসিম উদ্দিন জানান, ‘রেডরুফ ইন হোটেলের কর্মচারি সোহেল মিয়া ও আরো একজন ব্যক্তি ২০টি ফার্নিচার বুকিং দিতে এসে প্রাপক রাজশাহীর মুকতুল হোসেন নামের ব্যক্তির ঠিকানার পাশাপাশি রেফারেন্স হিসেবে কুমিল্লার মেয়র সাহেবের নাম ব্যবহার করে। বিল ১৩ হাজার টাকা হওয়ায় ‘রেডরুফ ইন হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার ফোন করে মেয়র সাহেবের রেফারেন্স দেন এবং তিনি ওনার ভাগ্নে জামাই হন বললে বিল কমিয়ে ৮ হাজার টাকা করা হয়। ’
# দেশ–বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on August 31, 2020 4:58 pm by প্রতি সময়