ছবি: বুড়িচংয়ের কোরপাই-কাকিয়ারচর সড়ক #
গ্রামেও এখন শহুরে সুবিধার অনেক কিছুই বিদ্যমান। আর গ্রামীণ সড়ক ঘিরে যোগাযোগ ব্যবস্থারও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদ কোরপাই-কাকিয়ারচর সড়কের দিকে তাকালে মনে হবে যোগাযোগ ব্যবস্থায় এখনো সেই মান্দাত আমলেই রয়ে গেছে। সড়কটির কাদামাটির তিন কিলোমিটার অংশে গত ২৪ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ফলে বৃষ্টির সময়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় এখানকার কয়েক হাজার মানুষকে।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম কোরপাই,কাকিয়ারচর। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর পাশে গ্রাম দুটির অবস্থান। মহাসড়ক থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দুরের কোরপাই গ্রাম থেকে সোজা পশ্চিমে কাকিয়ারচর। এই গ্রামে কম করে হলেও চার হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। কাকিয়ারচর গ্রামে রয়েছে কাকিয়ারচর সরকারী প্রাথমিক ও কাকিয়ারচর আদর্শ কারিগরী উচ্চ বিদ্যালয় নামের দুটি শিক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে শিক্ষার্থী রয়েছে সহসধিক। এছাড়াও রয়েছে ব্যবসায়ী,কর্মজীবি ও শ্রমজীবি অনেকেই। দুটি গ্রামের মানুষদের চলাচলের তিন কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি অতিক্রিম করে লোকজন প্রতিনিয়তই যাতায়াত করতে হচ্ছে কর্মস্থল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এর বাইরে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ বা ব্যক্তিগত প্রয়োজন কিংবা চিকিৎসা সেবা নিতেও লোকজন সড়কটি অতিক্রম করে জেলা সদর বা গুরুত্বপূণর্ স্থানগুলোতে যাতায়াত করে। কিন্তু বৃষ্টিপাতের মৌসুমে সড়কটির বেহালদশা জনদুর্ভোগ চরমে গিয়ে পৌঁছে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ রয়েছে সড়কটিতে বিগত দু’যুগে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। অপেক্ষাকৃত নিম্নআয়ের মানুষদের বসবাসের এই গ্রামের অধিকাংশই কৃষিকাজের সাথে জড়িত। শুস্ক মৌসুমে কিছুটা বিড়ম্বনা কম হলেও বৃষ্টির সময়ে জনদুর্ভোগ চরমে উঠে। রাস্তাটি ব্যবহারের এতটাই অনুপযোগী যে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি অতিক্রম করতে ২/৩’শ টাকা দাবী রিকশা বা ইজিবাইক চালকদের। যা নিম্নআয়ের মানুষদের পক্ষে একেবারেই অসহনীয়। এদিকে সড়কটি অনুপযোগী থাকায় অসুস্থ রোগী কিংবা বৃদ্ধ নারী-পুরুষ,শিশুদেরও অবর্ননীয় কষ্ট পেতে হয়।
কোরপাই গ্রামের জাহিদ, রফিক, আক্রামসহ অনেকেই জানান, বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধি বা সরকারী লোকজন এসে সড়কটি উন্নয়নের কথা বললেও গত ২৪ বছরেও কোন সংস্কার হয়নি। তারা আরোও বলেন, সড়কটির বিভিন্নস্থানে গর্ত হয়ে এতটাই কর্দমাক্ত অবস্থা যে,সিএনজি অটোরিকশা বা ব্যাটারীচালিত ইজিবাইকও চলাচল করতে চায়না। অথচ সড়কটি ব্যবহারের উপযোগী হলে ১০/১৫ টাকায় স্বাচ্ছন্দে তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবে।
সড়কটির বেহাল অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে মোকাম ইউনিয়নের কোরপাই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক মুন্সী বলেন, ‘সড়কটি মেরামতের জন্য উপরের অনুমোদন পাওয়া গেছে অচিরেই কাজ হবে।’
বুড়িচং উপজেলা প্রকৌশলী অনুপ কুমার বড়ুয়া জানান, ‘সড়কটি বিগত সময়ে কখনোই সংস্কার বা মেরামত হয়নি। সম্প্রতি সড়কটি উন্নয়নের জন্য সরকারীভাবে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সড়কটি উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।’
# দেশ–বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on September 13, 2020 10:09 am by প্রতি সময়