গণপিটুনির সময় মোবাইল ফোনে তোলা ছবি #
বেশ কিছুদির ধরে ডাকাত পাহারায় রাত কাটছে কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলার বিজয়পুর, নোয়াপাড়া, উত্তর বিজয়পুর, মধ্যম বিজয়পুর, মেইলগেইট গ্রামবাসীর।ডাকাত প্রতিরোধে গ্রামের মানুষজন সভাও করেছে।প্রতিটি মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিনদের সতর্ক থাকার জন্যও বলা হয়েছে।অবশেষে গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে ডাকাতদলের এক সদস্য আটক হয়।পরে জনরোষের শিকারে গনপিটুনিতে মারা যায় অজ্ঞাতনামা ডাকাত।
রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে মধ্যম বিজয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাতের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে তার বয়স আনুমানিক ৩০ বছর হবে।পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লার সদস্যরা নিহত ডাকাতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছেন।
সদর দক্ষিন মডেল থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম গণপিটুনিতে ডাকাত নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান ময়না তদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে মধ্যম বিজয়পুর গ্রামের ইয়া খানের বাড়িতে ঢুকে ডাকাতির চেষ্টা চালায়।বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ইয়া খান চিৎকার শুরু করেন। এসময় আশাশেরবাড়ির লোকজনও বিষয়টি টের পায়। তারপর মাইকে গ্রামে ডাকাত পড়ার ঘোষণা দিলে ডাকাতদল অবস্থা বেগতিক দেখে পালাতে থাকে এসময় ডাকাতদলের এক সদস্যকে ছেনি ও চুরিসহ স্থানীয় লোকজন আটক করে তাকে বেঁধে রাখে।একপর্যায়ে গত কয়েকদিনে ডাকাত যন্ত্রণার জমে থাকা ক্ষোভে গণপিটুনির শিকার হয় আটক ডাকাত। এসময় কেউ কেউ মোবাইল ফোনে আটক ডাকাতের ছবিও ধারণ করে।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর)খুব সকালের দিকে হাসপাতাল নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে।
১নং বিজয়পুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা জানান, স্থানীয় জনতার ক্ষোভের রেশে গণপিটুনিতে ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে ডাকাতের উপদ্রবে গ্রামবাসীর রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
#দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে protisomoy ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে এবং protisomoy news ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on September 28, 2020 12:47 pm by প্রতি সময়