প্রতীকি ছবি #
দুইদিনের পুলিশ রিমান্ড শেষে সাত মাস বয়সী শিশুপুত্র মাহাদী হাসানকে কোলে নিয়ে আদালতের কাঠগড়ায় শাহনাজ আক্তার ও তার স্বামী মাসুম।ওইসময় অন্য একটি মামলার শুনানি করতে আসা আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম স্বপ্রণোদিত হয়ে শিশু কোলে ওই নারীর পক্ষে জামিনের আবেদন জানিয়ে আদালতে যুক্তি তুলে ধরেন। বিচারক বাদী ও আসামীপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি শুনে অবশেষে জামিনের পক্ষে আদেশ দেন।
বুধবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আতাব উল্লাহ মানবিক বিবেচনায় শিশুসহ শাহনাজ আক্তার ও তার স্বামীকে জামিন প্রদান করেন।
মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম জানান, ২০১৮সালের ১সেপ্টেম্বর কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন গৃহবধু আয়েশা আক্তার রীমা।এ ঘটনায় তার পিতা কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় নিহতের স্বামী নাসির উদ্দিন, ভাসুর মাসুম ও তার স্ত্রী শাহনাজ বেগমকে আসামী করা হয়।
ওই মামলায় গত ১৯ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পন করেন শাহনাজ বেগম। এসময় তার কোলে সাতমাস বয়সী শিশুপুত্র মাহাদী ছিল।আদালত দুগ্ধপোষ্য হওয়ায় তার মায়ের সাথে শিশুটিকেও রাখার আদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠায়। গত ২ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২দিনের রিমান্ডে নেয় শাহনাজ বেগম ও তার স্বামী মাসুমকে।সাথে তাদের শিশুপুত্রটিও ছিল।রিমান্ড শেষে আজ বুধবার আদালতে তাদের তোলা হলে আমরা অন্য একটি মামলায় এসে এই বিষয়টি দেখে স্বপ্রণোদিত হয়ে এই মামলায় যুক্ত হয়ে বিজ্ঞ আদালতে জামিন প্রার্থনা করি। আদালত আমাদের কথায় সন্তুষ্ট হয়ে শাহনাজ বেগম এবং তার স্বামী মাসুমকেও জামিন দিয়েছেন। আদালতের মানবিক বিচেনায় এ জামিনের ফলে করোনাকালে একটি কোলের শিশুও পারিবারিক পরিবেশ ফিরে পেল।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিন। এছাড়া protisomoy news ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন ও বেলবাটন ক্লিক করে নতুন নতুন নিউজ পেতে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on November 4, 2020 8:51 pm by প্রতি সময়