সিলেট বিভাগের ১৪জন বীরাঙ্গনা নারীকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।এর মধ্যে ১৩জনের বাড়ি সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায়। বাকি একজনের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায়।স্বাধীনতার ৪৯ বছরে যে স্বীকৃতি মেলেনি, তা দীর্ঘবছর পরে আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে।মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়ায় এসব বীরাঙ্গনা নারীরা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নির্যাতিত সিলেট বিভাগের ১৪ নারীসহ দেশের আরও ৪৭ জন বীরাঙ্গনা নারীকে এই সম্মানজনক মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩ বীরাঙ্গনা হলেন- বুধিগাঁও গ্রামের কছর আলীর মেয়ে জামিরুন নেছা, ব্রাহ্মণগ্রাম গ্রামের আব্দুল কাদিরের মেয়ে জয়নব বিবি, লেঙ্গুড়া গ্রামের ফুরকান আলীর মেয়ে জয়তুন বেগম, বাউরভাগ গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর মেয়ে হাজেরা বেগম, তিতিকুল্লি গ্রামের আব্দুস সোবাহানের মেয়ে খুদেজা, তিতিকুল্লি গ্রামের রবি খার মেয়ে রুকেয়া, আলমনগর (মুড়াবস্তি) গ্রামের আক্রম আলীর মেয়ে মমতা, গুরুকচি গ্রামের আব্বাছ আলীর মেয়ে আলিপজান, বুধিগাঁও গ্রামের রবি খানের মেয়ে রহিমা বেগম, বুধিগাঁও গ্রামের নেওয়াজ আলীর মেয়ে নবিরুন বেগম, পুকাশ গ্রামের বসন্ত চন্দর মেয়ে সিমন্তী রানী চন্দ, আলমনগর (মুড়াবস্তি) গ্রামের হযরত আলীর মেয়ে জোৎস্না বেগম, বুধিগাঁও হাওর গ্রামের রবি খানের মেয়ে আসমা বেগম। এছাড়া বাকি একজন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মানগাঁও গ্রামের আব্দুল মনাফের স্ত্রী বেগম আছকিরুন নেছা।
স্বাধীনতার ৪৯ বছরে এসে বহু প্রত্যাশিত মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়ে খুশি একাত্তরের বীরাঙ্গনারা। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধারা।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিন। এছাড়া protisomoy ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন ও বেলবাটন ক্লিক করে নতুন নতুন ভিডিও নিউজ পেতে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on December 15, 2020 9:31 pm by প্রতি সময়