ফেনী জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও শর্শদি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জানে আলমকে টাঙ্গাইল নিবাসী ঠিকাদার খলিলুর রহমান অপহরণ মামলায় একদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।এর আগে ১ জানুয়ারি চেয়ারম্যান জানে আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৭ ডিসেম্বর ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলার গ্রাম পুলিশদের পোশাক সরবরাহের দরপত্র জমা দেয়ার দিন ধার্য ছিল।৫৪ লাখ টাকার ওই কাজ পেতে নির্ধারিত দিনে দরপত্র জমা দেয়ার জন্য ফেনী আসেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ইনপিঞ্জারপুর এলাকার বাসিন্দা খলিলুর রহমান। তিনি ‘মাটি আর মানুষ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার।বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার গতিরোধ করে দরপত্র জমা দিতে নিষেধ করে। তিনি তাদের নিষেধ অমান্য করে নির্ধারিত বাক্সে দরপত্র জমা দেয়ার চেষ্টা করেন।এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।পরে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে একটি কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশির পর দুপুরে তাকে উদ্ধার করে।
এঘটনায় ঠিকাদার খলিলুর রহমান বাদী হয়ে শর্শদি ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলমসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনেক আসামি করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে দক্ষিণ জাহানপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে শর্শদি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জানে আলমকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলায় গ্রেফতার হওয়া আরো দুই আসামি উত্তর জাহানপুর এলাকার মোয়াজ্জেম বাড়ির আবুল কাসেমের ছেলে মো. সালাউদ্দিন ও জোয়ারকাছাড় এলাকার সাহাব উদ্দিন মোল্লা বাড়ির কবির আহম্মদের ছেলে কামরুল হাসান সাব্বির বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
Last Updated on January 5, 2021 7:04 pm by প্রতি সময়