কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সেনা সদস্য আবদুল রহমান হত্যা মামলার রায়ে চারজনের ফাঁসি ও একজনের দশ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ আদেশ দেন। এসময় আদালতে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত চার আসামি উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনের গাঁও গ্রামের হাফেজ মাওলানা মফিজুল ইসলামের ছেলে আবদুর রহমান বগুড়া সেনানিবাসে সৈনিক পদে কর্মরত ছিল। ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর রাতে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা এলোপাতারিভাবে কুপিয়ে হত্যার পর নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণে গোত্রশাল দিঘীর পশ্চিম পাশে তার লাশ ফেলে যায়। খবর পেয়ে লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশের নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনার পরদিন রাতে নিহত আবদুর রহমানের পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাকসাম জিআরপি রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আতাউর রহমান তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
এ মামলায় ২৮ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে আদালতের বিচারক অভিযুক্ত ৫ জনের মধ্যে ৪জনকে ফাঁসির রায় দেন এবং অপর আসামীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন।
ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার চম্পকনগর বাদারিয়া কলোনীর প্রয়াত রুহুল আমিন ওরফে বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ সিরাজুল ইসলাম, একই থানার উথারিয়া গ্রামের রেজু মিয়ার ছেলে উজ্জল মিয়া ওরফে ইয়াছিন ওরফে পিচ্ছি ভাগিনা প্রকাশ কালা, চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার মৌলভীপাড়া গ্রামের প্রয়াত রফিক মিয়ার ছেলে জনি প্রকাশ নয়ন ও হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার মশাখালী গ্রামের আকাশী দাস প্রকাশ কালীদাসের ছেলে প্রদীপ দাস।এ মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বাসুদেব গ্রামের প্রয়াত লাহু মিয়ার ছেলে আলী আক্কাছকে দশ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার এবং আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাঈমা সুলতানা মুন্নী।
Last Updated on February 8, 2021 8:49 pm by প্রতি সময়