বিউটি পার্লারের আড়ালে এক কিশোরী কর্মীকে আটকে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগে নারী কাউন্সিলরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গাজীপুরের বাসন থানায় মামলা হয়েছে। এঘটনায় যে বাড়িতে অনৈতিক কাজ হতো ওই বাড়ির কেয়ারটেকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনাটি গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে ভুক্তভোগী কিশোরী গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৬, ১৭, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজী (৪০)সহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর পুলিশ এঘটনায় গাজীপুর নগরীর গ্রেটওয়াল সিটি নামে বাড়ির কেয়ারটেকার মো. নূরুল হককে গ্রেফতার করেছেন। পুলিশ কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজীকে খুঁজছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাসন থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান,চার মাস আগে নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজী চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় রহমান শপিং মলে তার পরিচালিত আনন্দ বিউটি পার্লারে ওই কিশোরীকে চাকরি দেন। কিছু দিন পর ওই এলাকার গ্রেটওয়াল সিটিতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন নারী কাউন্সিলর। সেখানে রেখে ওই কিশোরীকে দিয়ে বিউটি পার্লারের কাজ করানো হতো। পাশাপাশি তাকে দিয়ে ঘরে বিভিন্ন কাজ করানো হতো।
ওসি কামরুল ফারুক আরও জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আসামি নুরুল হকের সহযোগিতায় প্রধান আসামি কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজী ওই ফ্ল্যাটে কিশোরীকে দিয়ে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে যৌনকর্মীর কাজ করতে বাধ্য করেন।
ওই কিশোরী একাধিকবার নারী কাউন্সিলরের বাসা থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাকে আটকে রেখে এসব অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করা হতো। মঙ্গলবার সকালে ওই কিশোরী কৌশলে কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে পালিয়ে থানায় এসে পুলিশকে ঘটনা খুলে বলে মামলা করেন।
ওসি কামরুল ফারুক বলেন, মামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর রোজীসহ পলাতক অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এঘটনার ব্যাপারে মহিলা কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Last Updated on February 17, 2021 6:46 pm by প্রতি সময়