ইনস্যুরেন্স বা বীমা পেশা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি স্বাধীন ও মহৎ পেশা।এ পেশায় কাজ করার একটি বড় অংশই হচ্ছে মানবসেবা।যার মাধ্যমে মানুষকে আর্থিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা যায়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগ দেন।জাতির পিতার বীমা স্মৃতি বিজড়িত দিনটিকে জাতীয় পর্যায়ে স্মরণীয় রাখতে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে প্রতিবছর ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। বীমা শিল্পের উন্নয়ন ও বীমার গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয়বারের মতো পালন করা হবে দিবসটি।
জীবন বীমা বা লাইফ ইনস্যুরেন্স সম্পর্কে মানুষের কিছু ভ্রান্ত ধারণা ছিল। কিন্তু সময়ের আবর্তে বীমা শিল্প এখন মানুষের বিশ্বস্থতার জায়গায় স্থান করে নিয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির এই আলোকিত সময়ে গ্রাহক হাতের মুঠোয় তার বীমা পলিসির আদ্যোপ্রান্ত জেনে নিতে পারছেন। আর বর্তমান সময়ে কর্মক্ষেত্রে বীমাকর্মীরাও দায়িত্বশীল এবং দূরদর্শী মনোভাব সম্পন্ন। তারা সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা রেখে গ্রাহকদের সঠিক বীমা পলিসির পরামর্শ দিচ্ছেন।
জীবন বীমা পলিসি গ্রাহকের জীবনের বাতিঘর বলা যেতে পারে। এই বীমা পলিসি জীবনে যেমন আলো জ্বালাবে, তেমনি বিপদ, দূর্ঘটনা এমনকি মরণেও আলোকবর্তিকা হয়ে নির্ভরতার মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। কেউ থাকুক আর না থাকুক, এটা নিশ্চিত সত্য- গ্রাহকের দু:সময়ে পরম আপনজনের মতো পাশে থাকবে তার বীমা পলিসি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমাদের বীমাখাত যাতে কার্যকর অবদান রাখতে পারে এজন্য আমরা যারা বীমা পেশায় জড়িত আছি, জাতীয় বীমা দিবসের এই দিনটিকে সামনে রেখে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে গ্রাহকসেবার ব্রত নিয়ে বীমা খাতে ভূমিকা রাখার শপথ নেই।
Last Updated on February 28, 2021 4:17 pm by প্রতি সময়