# কুমিল্লায় জাতীয় কবি নজরুলের ১২৪তম জন্মবার্ষিকীর তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন" />
এক হাতে বিষের বাঁশি, আর এক হাতে অগ্নিবীনা বাজিয়ে সাম্যের গান গেয়ে যিনি বৃটিশ রাজশক্তির চরম নিপীড়ন নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন সেই প্রাণের কবি, গানের কবি, মহাবিদ্রোহের অগ্নিগিরি ও বাঙালির জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকীর তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন কুমিল্লায় উদযাপন করা হচ্ছে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণে ‘চেতনায় নজরুল’ ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন স্থানীয় এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকম বাহাউদ্দিন বাহার, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, নজরুল পরিষদ, কালচারাল কমপ্লেক্স কবি নজরুল ইনস্টিটিউট কেন্দ্র, কুমিল্লা সাংস্কৃতিক জোট, জাতীয় রবীন্দ্র্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ, নজরুল মেমোরিয়াল একাডেমীসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরে বেলুন উড়িয়ে তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি বলেন, কালজয়ী প্রতিভার অধিকারী কবি নজরুলের কবিতা, গল্প, গান, প্রবন্ধ, উপন্যাস আমাদের বাংলা সাহিত্য, সঙ্গীত, সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে নজরুলের গান কবিতা এ উপমহাদেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িকতা ও জাতীয়তাবোধের মূর্ত প্রতীক। নজরুলের অগ্নিঝরা কবিতা ও গান মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা যুগিয়েছিল। আজও যখন সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলে, মানুষের জীবন বিপন্নের ষড়যন্ত্র চলে তখন আমরা সাহস সঞ্চয় করি সাম্য, মানবতা ও বিদ্রোহী কবি নজরুলের কবিতার ছন্দ থেকে। কুমিল্লার সাথে কবির আত্মিক সম্পর্ক কুমিল্লাকে মহিমান্বিত করেছে। ১৯২১ সাল থেকে ১৯২৩ সালের মধ্যে মোট পাঁচবারের আগমন আর ১১ মাসের অবস্থান ঘিরে কবি নজরুলের জীবনের মোড় ঘুরার প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হয়েছিল এই কুমিল্লাতেই। কবি নজরুলের কুমিল্লায় অবস্থানের পুরো সময়টা ছিল বৈচিত্র্যময়। জাতীয় কবি নজরুলের সাহিত্যকর্ম নিয়ে যত বেশি চর্চা ও গবেষণা হবে তাতে করে নজরুল কুমিল্লার, কুমিল্লা নজরুলের-এই বোধ ও বিশ্বাসের জায়গাটি আরো সমৃদ্ধ ও আলোকিত হয়ে উঠবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কজ বড়ুয়া। প্রধান আলোচক ছিলেন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. রফিকউল্লাহ খান। আলোচক ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রাজিব কুমার সরকার।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ছিলেন জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ আয়াজ মাবুদ ও আবত্তিকার মাহতাব সোহেল।
Last Updated on May 25, 2023 5:38 pm by প্রতি সময়