নদীমাতৃক ও কৃষি নির্ভর দেশ বাংলাদেশ। নদী আর কৃষি এদেশের প্রাণ। খাল খনন, কৃষিখাতে ব্যাপক ভর্তুকি থাকার পরও যথাযথ উন্নয়ন না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানিতে ভরপুর থাকা নদী খাল বিল শুষ্ক মৌসুমে গরু ছাগলের চারণভূমিতে পরিণত হয়।
শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরের বেশিরভাগ গ্রামের হাজার বিঘা জমি প্রায় ধ্বংসের পথে। পানির অভাব আর দখলে বিজয়নগরের প্রাণ বালিয়াজুড়ি নদী এখন গোচারণ ভূমি।নদীটি জেলার ঐতিহ্যবাহী তিতাস নদীর একটি শাখা নদী ।
বালিয়াজুড়ি নদী বিজয়নগর উপজেলার রামপুর তিতাস নদী থেকে ইছাপুরা, চম্পকনগর, পত্তন, সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন অতিক্রম করে দক্ষিণ দিকের নোয়াগাঙ ও বাগাদি বিল হয়ে আখাউড়া উপজেলার তিতাসের সাথে মিলেছে। এর শাখা-উপ শাখার খালগুলো যথাযথভাবে খনন না হওয়ায় উপজেলার কৃষি প্রধান এলাকা গুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, বালিয়াজুড়ি নদী একসময় বছর জুড়ে পানি থাকলেও এখন কেবল বর্ষা মৌসুমে পানির দেখা মিলে। নদীর অন্তত দেড় থেকে দুই কিলোমিটার খনন করলে সুফল পাওয়া যাবে এবং নৌ চলাচলেও উপযুক্ত হবে। এমনকি বর্ষাকালে পানি ধারণ ক্ষমতাও বাড়বে।
এদিকে বালিয়াজুড়ি নদী হতে দুলিয়াবিল সংযুক্তিতে প্রায় দুই কিলোমিটারের একটি খাল সাতগাঁও গ্রামের ভিতরে প্রবেশ করেছে। এই খালটিও দখল হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলতি দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, বালিয়াজুড়ি নদী খননের কোন প্রকল্প আসে নাই। শুধু লইস্কা বিলের খনন ছাড়া আর কোন প্রকল্প হাতে নেই ।
Last Updated on March 16, 2024 10:03 pm by প্রতি সময়