রবি মৌসুমে পৌষ-মাঘ দুই মাস বোরো ধান রোপণের উপযুক্ত সময়। সেই দিক থেকে পৌষের শেষের তীব্র ঠান্ডা হাওয়ার কনকনে শীত উপেক্ষা করে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় বোরো ধানের চারা লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা।
এ অঞ্চলে সাধারণত আউশ, আমন, গম, ভুট্টা ও বোরো ধানের প্রচুর আবাদ হয়ে থাকে। আমন ধান কাটার পরে শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদের ব্যস্ততা। এর মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বোরো ধানের চারা রোপনের কৃষি কর্মযজ্ঞ।
প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে কুয়াশার চাদরে মোড়া সেই ভোর থেকে সন্ধ্যা অবধি বোরো ধানের জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
কেউ জমিতে হাল চাষ দিচ্ছেন, কেউবা জমির আইলে কোদাল পাড়া কিংবা জৈব সার বিতরণ কাজে ব্যস্ত। কেউ সেচের জন্য ড্রেন নির্মাণ কিংবা পাম্পের বা শ্যালো মেশিনের জন্য ঘর তৈরি করছেন। আবার অনেকে তৈরি জমিতে পানি সেচ দিয়ে ভিজিয়ে রাখছেন। আনুসঙ্গিক কাজ শেষ করে কেউবা বীজতলা থেকে চারা তুলে তা রোপণ করছেন বোরোর জন্য প্রস্তুত রাখা জমিতে।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা গ্রামের কৃষক আবদুল মতিন বলেন, এ বছর নতুন জাতের বি আর ৫৮ ধান ১৬৫ শতক জায়গায় চারা রোপণের কাজে ব্যস্ততা চলছে। প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করেই কৃষিকাজ করতে হচ্ছে। চারা রোপনের পরবর্তী সময়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশা করি সমস্যা হবেনা।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা শশীদল ইউনিয়নের নাগাইশ গ্রামের কৃষক আবদুল বাতেন বলেন , বোরো ধান লাগাতে দিন-রাত পরিশ্রম করতে হয়। এছাড়া বোরো আবাদে খরচও বেশি হয়। বোরো ধান লাগানোর পর থেকে তিন-চার দিন পর পর সেচ দিতে হয়। খরচ বেশি হলেও ধান বিক্রিতে সঠিক দাম পেলে লাভবান হবো।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুদ রানা বলেন, এ বছর উপজেলায় ৮ হাজার ৫ শত ৮০ হেক্টর বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলার অনেক জায়গায় ধানের চারা উত্তোলন ও জমিতে চারা রোপণ শুরু হয়েছে। তীব্র শীতের মধ্যে ধানের চারা ভাল রাখার জন্য আমরা কৃষককে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি।এবারে ব্রাহ্মণপাড়ায় হাইব্রিড ও উপসি জাতের ধান চাষে কৃষকরা বেশি আগ্রহী। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও উপজেলায় বোরোর আবাদ বেশি অর্জিত হবে।
Last Updated on January 17, 2024 9:07 am by প্রতি সময়