কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা জুড়ে সরিষার বাম্পার ফলনে বেশ খুশি স্থানীয় কৃষকরা। এবারে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার ফলন গত বছরের চেয়ে বেশি হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। উপজেলার সবকটি ইউনিয়নেই বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সরিষার হলুদ ফুলে রঙিন হয়ে উঠেছে গ্রামগুলো। ভোর থেকে শুরু হয়ে বিকেল অব্দি সরিষা ক্ষেতের পরিচর্যায় সময় পার করছেন কৃষকরা।
চলতি মৌসুমে পুরো উপজেলায় প্রায় ৯ হাজার ৫২ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে সরিষার। কৃষকের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ হলেও বারি ১৪-১৫-১৭-১৮ বিনা ৪-৯- ১১ সহ কয়েক জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
উপজেলার রামচন্দ্রপুর উওর ইউনিয়নের বি-চাপিতলা কৃষক মফিজ মিয়া, কামাল্লা ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের কৃষক হোসেন মিয়া, যাত্রাপুর ইউনিয়নের মোচাগড়া গ্রামের কৃষক আদম আলী, শ্রীকাইল ইউনিয়নের পেন্নুই গ্রামের রফিক মিয়া, আন্দিকোট ইউনিয়নের দেওরা গ্রামের করিম মিয়া জানান, জমি তৈরির করা থেকে ফলন গড়ে তোলা পর্যন্ত প্রায় এক বিঘা প্রতি জমিতে সরিষা চাষে খরচ হয়েছে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। সরিষা ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এসব জমি থেকে এক বিঘাপ্রতি প্রায় ৫ মন থেকে ৬ মন সরিষার ফলন মিলবে।
উপজেলার মুরাদনগর সদর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের কৃষক জয়নাল বলেন, সরিষার বর্তমান বাজারদর মনপ্রতি প্রায় ২৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। রোদে শুকিয়ে গুদামজাত করে পরে বিক্রি করতে পারলে সরিষার বাজার দর আরো বেশি পাওয়া যাবে বলে। কিন্তু আমাদের মতো কৃষকদের গুদামজাত করার সুযোগ না থাকায় এবং অভাব অনটন থাকায় সরিষা ঘরে তোলেই বিক্রি করে দিতে হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পাভেল খাঁন পাপ্পু বলেন, সরিষা চাষের বিষয়ে আমরা কৃষকদের পরামর্শসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছি। চলতি বছরে মুরাদনগর উপজেলায় প্রায় ৯ হাজার ৫২ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে পুরো উপজেলায়। গত মৌসুমের তুলনায় এবার ৫ ভাগ বেশি সরিষার আবাদ হয়েছে। বিঘা প্রতি প্রায় ৫ হাজার ৮শ খরচ করে অন্তত ৫ মন করে সরিষার ফলন পাবেন চাষিরা। এবারে অল্প খরচে বেশ লাভবান হয়ে থাকবেন উপজেলার সরিষা চাষিরা।
Last Updated on February 5, 2024 6:51 pm by প্রতি সময়