কুমিল্লার হোমনায় বোনের প্রেমিক কে হত্যার দায়ে ভাই ও তার এক বন্ধুকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (১ এপ্রিল) কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লা হোমনা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মো. ফুল মিয়ার ছেলে মো. শামীম মিয়া ও একই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের মো. বেদন মিয়ার ছেলে মো. দুলাল মিয়া। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার ও মো. নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন।
ওই আইনজীবীরা মামলার বিবরণ সম্পর্কে জানান, প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রেমিক ফয়সলকে প্রথমে শ্বাসরোধে ও পরে জবাই করে হত্যা করে শামীম মিয়া ও দুলাল মিয়া। শামীমের বোনের সঙ্গে রাজনগর গ্রামের ফয়সাল নামের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি শামীম জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়। ২০২০ সালের ৫ জুন রাত নয়টার দিকে শামীম মোবাইল ফোনে ফয়সালকে স্থানীয় আমিরুল ইসলাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ে আসতে বলে। ফয়সাল কাউকে কিছু না বলে প্রেমিকার ভাইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে ওই স্থানে যায়। সেখানে শামীম তার সঙ্গীয় দুলালকে সাথে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ফয়সালকে প্রথমে শ্বাসরোধে ও পরে জবাইয়ে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, এদিকে রাতে ফয়সলকে পরিবারের লোকজন না পেয়ে হোমনা থানায় জিডি করে তার পিতা মকবুল হোসেন। পুলিশ জিডির সূত্র ধরে শামীমকে গ্রেফতার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় একই বছরের ১৩ জুন নিহত ফয়সালের বোন সালমা আক্তার হোমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে দুলাল মিয়াকেও গ্রেফতার করা হয়। ২০২১ সালের ১৮ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. শামীম সরকার দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে আদালত আসামি শামীম মিয়া ও দুলাল মিয়াকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
Last Updated on April 1, 2024 8:12 pm by প্রতি সময়