বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৩:০৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
কুবিতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা : পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন কুমিল্লায় রবীন্দ্র স্মৃতি : এখনও সময় আছে সংরক্ষনের আজ বিশ্বকবির ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী ।। দুইবারের আগমনের স্মৃতিতে কুমিল্লা দাউদকান্দিতে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত প্রধানমন্ত্রীর দশটি বিশেষ উদ্যোগের সুফল ভোগ করছে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষরা : ইউএনও ব্রাহ্মণপাড়া মুরাদনগরে নামমাত্র মূল্যে নিলামে খাল খননের মাটি আমরা নির্বাচনের দিন কাউকে চিনবো না : জেলা প্রশাসক ।। ব্যালটে হাত পড়লে আমরা অন্য রকম হয়ে যাবো : পুলিশ সুপার বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুমিল্লা সাংস্কৃতিক জোটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ‘বৈশাখ অবগাহন’ অনুষ্ঠিত  আওয়ামী লীগই এদেশের জনগণের সুরক্ষা দিবে : ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর এমপি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো প্রবাসী স্বামীর, আইসিইউতে নববধূ কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের উদ্যোগে আন্ত:কলেজ ভলিবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন কুবি ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন দাউদকান্দির গৌরীপুরে ডাকাত দলের ৫ সদস্য গ্রেফতার চান্দিনার তাসনুবার প্রেমের ফাঁদে ব্যবসায়ী! প্রতারকচক্রের সাতজন গ্রেফতার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংবাদপত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় ভীতি তৈরি করেছে : বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের আলোচনায় বক্তারা কুমিল্লা হাইস্কুল এলামনাস এসোসিয়েশনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভা ‘খামারি’ মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারে ভালো ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি উৎপাদন খরচ কমাবে : ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি জিআই পণ্যের স্বীকৃতির তালিকায় কুমিল্লার রসমালাই টাউন হল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লা সাংস্কৃতিক জোটের ‘বৈশাখ অবগাহন’

তজুমদ্দিন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও জনবল সংকটে মেলে না কাঙ্ক্ষিত সেবা

আরিফ হোসেন, তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৩২৯ দেখা হয়েছে

নেই প্রয়োজনমত চিকিৎসক, নেই বিভিন্ন বিভাগে জনবল। ফলে এধরণের সংকটে স্বাস্থ্যসেবায় দুরবস্থা দেখা দিয়েছে ভোলার তজুমদ্দিনের ৫০ শয্যা সরকারি হাসপাতালে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা পড়ছেন ভোগান্তিতে। জনবলের এমন সংকটের কারণে নষ্ট হচ্ছে এক্সরে মেশিন, ল্যাবসহ টেকনিক্যাল গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র।

জানা যায়, উপজেলার সাধারণ মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা হাসপাতালটি হলেও এখানে রয়েছে চিকিৎসকের ৬টি পদ শূণ্য। একজন মেডিকেল অফিসার ইউনানী থাকলেও দীর্ঘদিন তিনি প্রেষনে রয়েছে বোরহানউদ্দিনে। পদগুলি শূণ্য থাকায় রোগীরা পাচ্ছেন না প্রয়োজীয় চিকিৎসাসেবা। বাধ্য হয়েই রোগীদের যেতে হচ্ছে ভোলা সদর, বরিশাল অথবা রাজধানী ঢাকাতে।

এছাড়া হাসপাতালটিতে যে সকল পদ শূণ্য রয়েছে, ইউনিয়ন সেন্টারে সহকারী সার্জন ৫টিতে ১টি শূন্য, নাসিং সুপারভাইজার ২টিতে ২টি শূণ্য, সিনিয়র ষ্টাফ নার্স ১৩ জন থাকলেও ১জন রয়েছে ভোলা প্রেষনে, হাসপাতালে স্যাকমো ৭টিতে ৬টি শূন্য, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব) ২টিতে একজন থাকলেও তিনি রয়েছেন প্রেষনে ভোলায়, মেডিকেল টেকনোলজিষ্টের ৪টি পদে ২জন থাকলেও তাদেও একজন প্রেষনে ভোলা সদরে অন্যজন ১০ বছর যাবৎ রয়েছেন ঢাকায় প্রেসনে আর ২টি রয়েছে শূন্য। ফার্মাসিষ্ট ২টিই শূণ্য, প্রধান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষকের পদটি শূণ্য, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটরের ৩টি পদেই শূন্য, ষ্টোর কিপার ১টিতে একটি শূন্য, পরিসংখ্যানবিদ ১জন থাকলেও তিনি প্রেষনে ভোলায় রয়েছেন। সহকারী সেবক ১টিকে একটি শূণ্য, স্বাস্থ্য পরিদর্শকের ২টি পদ শূন্য, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৬টিতে ২টি শূন্য একজন ভোলায় প্রেষনে, স্বাস্থ্য সহকারী ৩২টিতে ৬টি শূন্য, পিএইচসিপি ১৯টিতে ৪টি শূন্য, অফিস সহায়ক ৪টিতে দুইটি, ওয়ার্ডবয় ৩টিতে দুইটি, কুক/মশালচী ২টিতে দুইটি, মালী ১টিতে একটি ও পচ্ছিন্নতা কর্মি ৫টিতে ৩টি শূন্য।

অনুসন্ধানে জানা যায়, একটি পদে একজন কর্মরত থাকলেও আবার সেই কর্মরত ব্যক্তি নিজের পছন্দমত জায়গায় প্রেষন নিয়ে বসে আছেন। তারা ৬মাস থেকে শুরু করে ১০ বছর পর্যন্ত প্রেষনে রয়েছে। যার কারণে তার নিজ কর্মস্থল তজুমদ্দিন হাসপাতালটিতে চিকিৎসাসেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জনবল সংকটে নষ্ট ও অকেজো হচ্ছে এক্সরে মেশিনসহ মূল্যাবান মেশিনপত্র। চিকিৎসক সংকটের কারণে সেবা নিতে আসা রোগীরা দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা স্বপন দেবনাথ বলেন, হাসপাতালটিতে ডাক্তার সংকট না হলে আমাদেরকে দীর্ঘ সময় ব্যবস্থাপত্রের জন্য লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হতো না। দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে সেবা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তি বাড়ছে।

তজুমদ্দিন হাসপাতালের আরএমও ডা. মোঃ হাসান শরীফ বলেন, জনবল সংকটের কারণে রোগীর বিভিন্ন ধরনের টেষ্ট বাহিরে করতে হয়। আর তখনি রোগীদের সাথে আমাদের সমস্যার সৃষ্টি হয় জনবল ঠিক থাকলে হাসপাতালে সরকারী খরচে রোগীরা কম খরচে টেষ্ট করাতে পারতো। তিনি আরো বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় শিশু ও অর্থপেডিকসের রোগীদের আমরা ভোলায় রেফার করতে হয়। এখানে ডাক্তার থাকলে মানুষ ভোলায় যেতে হতো না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সোহেল কবির বলেন, হাসপাতালটিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ থাকলেও স্বাধীনতার পর থেকে কোন বিশেষজ্ঞ চিৎিসকে পদায়ন করা হয়নি। ডাক্তার, জনবল সংকট ও প্রেষনের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে আশা করা যায় দ্রæত সমাধান হবে। তিনি আরো বলেন, প্রেষনের বিষয়ে সুনিদিষ্ট নীতিমালা থাকার দরকার যে সে কতদিন প্রেষন ভোগ করতে পারবে।

#দেশবিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে protisomoy ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে এবং protisomoy news ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে অ্যাকটিভ থাকুন

Last Updated on September 22, 2020 3:17 pm by প্রতি সময়

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...

বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন।

themesba-lates1749691102