অবশেষে চূড়ান্ত বরখাস্ত হয়েছেন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার চরগোয়ালী খন্দকার নাজির আহমেদ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবেন্দ্র চন্দ্র বৈষ্ণব।
অর্থ আত্মসাৎ, সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক দেবেন্দ্র চন্দ্র বৈষ্ণব।অবশেষে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব নূর মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তাকে চূড়ান্ত বরখান্ত করা হয়। শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবদুস ছালাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অর্থ আত্মসাৎ, সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে দেবেন্দ্র চন্দ্র বৈষ্ণবকে এর আগে সাময়িক বরখাস্ত করেছিলেন বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এফ এম মুশফিকুর রহমান। চূড়ান্ত বরখান্তের জন্য তিনি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন। প্রধান শিক্ষকও বোর্ডে পাল্টা আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের আপিল অ্যান্ড আরবিট্রেশন কমিটি কাগজপত্রাদি পর্যালোচনার পর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির আবেদন অনুমোদন করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানান গেছে, দেবেন্দ্র চন্দ্র বৈষ্ণবদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিকে অসহযোগিতা, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বাক্ষর জালসহ বিদ্যালয়ের প্রায় ৬০ লাখ টাকার অনিয়ম করায় বিধি মোতাবেক নিয়মিত সভা না করা সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিদ্যালয়ের সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ২০২০ সালের বৈশাখী ভাতা এবং মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের সরকারি বেতন উত্তোলন করেন দেবেন্দ্র চন্দ্র বৈষ্ণব। ২০১৯ সালের জেএসসি পরীক্ষায় জুরানপুর করিমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীকে নকল দিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন তিনি।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে নিজের মেয়েকে দাউদকান্দি আদর্শ (পাইলট) উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে অধ্যয়নরত থাকার পরও ক্ষমতার অপব্যবহার করে চরগোয়ালী খন্দকার নাজির আহমেদ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি দেখিয়ে সরকারি উপবৃত্তির টাকা গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো ধরনের আর্থিক লেন দেন না থাকলেও দেবেন্দ্র চন্দ্র বৈষ্ণব ভাউচারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাবদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকার হিসাব সংযুক্তি দেখিয়েছিলেন।
Last Updated on February 27, 2021 8:29 pm by প্রতি সময়