কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেছেন, কুমিল্লার খরস্রোতা গোমতি নদী, শহরের উত্তরপ্রান্তে অবস্থিত পুরানো গোমতি এবং ডাকাতিয়াসহ জেলার অন্যান্য নদীর জায়গা যারা দখল করে রেখেছে সেসব দখলদার উচ্ছেদের জন্য আগামী চারদিন টানা অভিযান চলবে। জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে এ অভিযান চালাবে। পরিবেশ রক্ষায় ও নদী বাঁচাতে এ অভিযানে কোন দখলদারদের ছাড় দেওয়া হবে না।
বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে রোববার কুমিল্লা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহজালাল সেলিম, মোহাম্মদ সেলিম প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, কুমিল্লায় ১৫টি নদী বহমান রয়েছে। এসব নদীর বিভিন্ন অংশে দুই হাজার ৩২২ জন অবৈধ দখলদার রয়েছেন। এর মধ্যে ৩৬৩ জন উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাছাড়া কুমিল্লার খরস্রোতা গোমতি নদীর দুই তীরে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা বালু ও মাটি কেটে নেওয়ার ফলে ফসলি জমি ও নদীর গতি পথ নষ্ট হয়েছে। নদীকে বাঁচতে দিতে হবে, নদীকে বাঁচাতে হবে।
Last Updated on September 25, 2022 7:53 pm by প্রতি সময়