ছবি: আটক চারজনের বিষয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত তথ্য জানান পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম #
কোন অপরাধী ধরতে বা কোন অভিযানে গেলে ডিবি পুলিশ বিশেষ করে যেসব সরজ্ঞাম ব্যবহার করেন, এর সব ব্যবস্থাই রয়েছে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার ধাতুয়া গ্রামের মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে সুমন মিয়া, ভোলার তজুমুদ্দিন থানার শাহজাহান মিয়ার ছেলে ইউসুফ, জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার মৃত আনারুলের ছেলে আপেল ও যশোর জেলার কোতয়ালী থানার লুৎফুর রহমানের ছেলে মনিরের কাছে। কিন্তু ওরা আসল ডিবি পুলিশ নন। ওরা ভূয়া। প্রাইভেট কার, পিস্তল, হ্যান্ডকাফ, লাঠি এসব ব্যবহারের মাধ্যমে এ চক্রটি ব্যবসায়িদের টার্গেট করে টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ ভূয়া ডিবি পুলিশ চক্রের চার সদস্যের একেক জনের বাড়ি ভিন্ন জেলায় হলেও তারা অপরাধ করেন একসঙ্গে। গত কয়েক বছর ধরেই ওরা ডিবি পুলিশ সেজে বিভিন্ন ব্যবসায়িদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কুমিল্লা পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) এলআইসি টিম মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রাইভেট কার, পিস্তল, হ্যান্ডকাফ, লাঠি ও সম্প্রতি ছিনিয়ে নেয়া ১ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ ওই চার ভূয়া ডিবি পুলিশকে আটক করে।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ি থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়া আটক চারজনের বিষয়ে প্রেসব্রিফিং করে বিস্তারিত তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আজিম-উল আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) নাজমুল হাসান রাফি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত কুমার পাল, ডিআইও-ওয়ান মাইনুদ্দিন খান।
#দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে protisomoy ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে এবং protisomoy news ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on September 23, 2020 12:04 pm by প্রতি সময়