কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের মো. আমির আলী ওরফে বিশা পাগলা নামে এক পীর ফকিরের মৃত্যুর পর তার ঘরের সিন্দুক থেকে দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তার ভক্তদের দান এবং মানতের টাকা এগুলো।
বুধবার দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর নবী।
এ ঘটনায় কুমিল্লাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। টাকা গোনার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলেও, চেয়ারম্যান নূর নবী বলেন, ওই ছবিটা সেখানকার নয়। টাকা গোনা কিংবা হস্তান্তরের সময় কোনোপ্রকার ছবি তোলা হয়নি। ছবিটি ভুয়া বলে ইউপি চেয়ারম্যান দাবি করেন।
চেয়ারম্যান নূর নবী জানান, আমির আলী ওরফে বিশা পাগলা পীর-ফকির ছিলেন। তিনি গত শুক্রবার মৃত্যুবরণ করেন। এসময় তার দরবারে থাকা বড় বড় পাতিল নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ায় নিকটাত্মীয়রা। পরে ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে আমি বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দিয়ে লাশ দাফন করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে বিশা পাগলার ঘর খুলে তার ঘরে থাকা আলমারিতে মোট ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা পাওয়া যায়। জীবিত থাকতে বিশা পাগলা একটি মসজিদ করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। উদ্ধার করা ওই টাকা তার নিকটাত্মীয়দের হস্তান্তর করা হয়েছে। তার নিকটাত্মীয়রা যৌথ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করে সেখানে রেখেছেন টাকাগুলো।
ইউপি চেয়ারম্যান নুর নবী আরও জানান বিশা পাগলার কোনো স্ত্রী-সন্তান না থাকায়, দুই ভাই জামাল হোসেন এবং কামাল হোসেন এবং তার এক বোনের মেয়ের নামে ওই যৌথ অ্যাকাউন্ট করা হয়েছে।
বিশা পাগলার স্বপ্নগুলো পূরণ করতে নিকটাত্মীয়দের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান নূর নবী।
এ ঘটনায় কুমিল্লাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। টাকা গোনার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলেও, চেয়ারম্যান নূর নবী বলেন, ওই ছবিটা সেখানকার নয়। টাকা গোনা কিংবা হস্তান্তরের সময় কোনোপ্রকার ছবি তোলা হয়নি। ছবিটি ভুয়া বলে দাবি করেন ইউপি চেয়ারম্যান।
Last Updated on July 13, 2022 8:04 pm by প্রতি সময়