সাবেক স্বামীর সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণে রক্ষা পেলেও ঘাড়ে ছুরিকাঘাতের চিকিৎসায় ৩০ সেলাই নিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৬,১৭, ১৮নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নেহার বেগম।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর)সকালে প্রাত:ভ্রমণে বেরিয়ে কুমিল্লা নগরীর দ্বিতীয় মুরাদপুর এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন।প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় হয়েছে কাউন্সিলর নেহার বেগমের সঙ্গে স্বামী রফিকুল ইসলাম রুক্কু মিয়ার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
কোতায়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. আনোয়ারুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কাউন্সিলর নেহার বেগম আশংকামুক্ত। আমরা তার খবর নিয়েছি।হামলাকারিকে আটক করতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে।
আহত কাউন্সিলর নেহার বেগমের পুত্র জহিরুল ইসলাম সুমন বলেন, তার পিতা রফিকুল ইসলাম রুক্কু মিয়ার নানা অনৈতিক কাজের কারণে তার মায়ের সাথে বনিবনা এবং সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করায় পারিবারিক সিদ্ধান্তে ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে তার মা নেহার বেগম পিতা রফিকুল ইসলাম রুক্কু মিয়াকে তালাক দেন।
জহিরুল ইসলাম সুমন আরও বলেন, তালাক হওয়ার পর থেকে তার পিতা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। প্রায় সময় তিনি রে ফেলার হুমকিও দিতেন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার খুব সকালের দিকে প্রতিদিনের ন্যায় প্রাত:ভ্রমণে বের হন কাউন্সিলর নেহার বেগম।দ্বিতীয় মুরাদপুরের নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে হাঁটার সময় তার ওপর আকস্মিক হামলা চালায় সাবেক স্বামী রফিকুল ইসলাম রুক্কু মিয়া। এসময় রুক্কু মিয়া তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে কাউন্সিলর নেহার বেগমের গলায় আঘাত করলে তা ঘাড়ে গিয়ে লাগে। নেহার বেগম চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয় পথচারি কয়েকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।তার আগেই ঘটনাস্থল থেকে ছুরিকাঘাত করে পালায় রুক্কু মিয়া।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক মুশফিক আহমেদ জানান, নেহার বেগমের ঘারে ধারালো ছুরির আঘাত ছিল। সেখানে অন্তত ৩০টি সেলাই লেগেছে। তিনি আশংকামুক্ত রয়েছেন।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিন। এছাড়া protisomoy news ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন ও বেলবাটন ক্লিক করে নতুন নতুন নিউজ পেতে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on October 22, 2020 9:29 pm by প্রতি সময়