ছবি: সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী নাইমা ও তার দুই সন্তান।।
বিকাশে মুক্তিপণ পাঠিয়েও ঘরে ফেরা হয়নি সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের। পুলিশ বলছে ঘটনাটি রহস্যজনক। আর প্রবাসীর ঘরের লোকজন বলছেন এটা অপহরণ। থানায় জিডি করেও পুলিশের তৎপরতা নেই। নিখোঁজের পাঁচ দিনেও সন্ধান না পাওয়ায় সবমিলে এক অজানা আশঙ্কায় সময় পার হচ্ছে ওই প্রবাসী ও তার ঘরের লোকজনের।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি গত ১০ আগষ্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঘটেছে।
প্রবাসীর ঘরের লোকজন জানান, চৌদ্দগ্রাম চিওড়া ইউনিয়নের সাঙ্গীশ্বর গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে নাজিম উদ্দীন দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব প্রবাসী। তার স্ত্রী নাইমা আক্তার (৩০) দুই শিশু সন্তান নাফিসা (১১) ও আসফী (৭) কে নিয়ে তাদের পড়ালেখার সুবিধার্থে ফেনী শহরে বাসা ভাড়া করে থাকেন। বর্তমানে নাজিমউদ্দিন প্রবাসে রয়েছেন।
এবার কোরবানীর ঈদে না্ইমা ও তার সন্তানরা ফেনী থেকে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে। স্বামীর বাড়িতে ঈদ করে ২/৩দিন পর পাশ্ববর্তী কনকাপৈত ইউনিয়নে বুদ্দিন গ্রামে বাপের বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত সোমবার (১০ আগস্ট) বিকালে নাইমা আক্তার সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়ি থেকে ফেরার পথে সিএনজি থামিয়ে ধোড়করা বাজারে নামেন কেনাকাটা করার জন্য। ছেলের জন্য ওষুধসহ কেনাকাটা করেন। তার সঙ্গে দুই সন্তান নাফিসা ও আসফী ছিল।
কিন্তু সন্ধ্যা হলেও তারা বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা তাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোনে কল করে ফোনটি বন্ধ পায়। আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি খোঁজ নিয়েও তাদের কোন সন্ধান না পাওয়ায় গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) এবিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন প্রবাসী নাজিম উদ্দিনের চাচা শশুর মো.মাহাবুবুল হক।
এ বিষয়ে প্রবাসীর স্ত্রী নাইমা আক্তারের খালাতো ভাই সাইফুল ইসলাম ও মো.সাহেদ জানান, নাইমা আক্তারের নাম্বার থেকে এক পুরুষ কন্ঠে চাচা মো.মাহাবুবুল হকের কাছে কল দিয়ে নাইমার সৌদি প্রবাসী বাবা মো.হানিফের নাম্বার নেন। পরে নাইমার বাবার কাছে একই নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করে একটি বিকাশ নম্বর পাঠায়। বৃহস্পতিবার রাতে ৩০ হাজার টাকা পাঠানো হয়। কিন্তু এরপর থেকে ওই মোবাইলটি বন্ধ রয়েছে।
মুঠোফোনে প্রবাসী নাজিম উদ্দীন জানান, আমার স্ত্রীর সাথে আমাদের পারিবারিক কোন বিরোধ নেই। কারো সাথে আমাদের কোন পারিবারিক বিরোধ নেই। প্রথমে ঘটনাটি নিখোঁজ মনে হলেও বিকাশে মুক্তিপণ চাওয়ার পর থেকে মনে হচ্ছে আমার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে কোন অপরাধী চক্র অপহরণ করেছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, বিষয়টি রহস্যজনক। আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on August 14, 2020 6:42 pm by প্রতি সময়