শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০১:২০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
কুমিল্লার কৃতি সন্তান জাফর ওয়াজেদ চতুর্থবারের মতো পিআইবির মহাপরিচালক হ্যাট্রিক জয়ে দিলারা শিরিনের চমক মেঘনায় তাজ কারিশমায় ধরাশায়ী রতন শিকদার লাকসামে ইউনুছ মনোহরগঞ্জে মান্নান মেঘনায় তাজ কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত  বাঙালির সামগ্রিক জীবনে রবীন্দ্রনাথের অপরিহার্যতা অনস্বীকার্য : কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান # বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপন কুবিতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা : পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন কুমিল্লায় রবীন্দ্র স্মৃতি : এখনও সময় আছে সংরক্ষনের আজ বিশ্বকবির ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী ।। দুইবারের আগমনের স্মৃতিতে কুমিল্লা দাউদকান্দিতে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত প্রধানমন্ত্রীর দশটি বিশেষ উদ্যোগের সুফল ভোগ করছে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষরা : ইউএনও ব্রাহ্মণপাড়া মুরাদনগরে নামমাত্র মূল্যে নিলামে খাল খননের মাটি আমরা নির্বাচনের দিন কাউকে চিনবো না : জেলা প্রশাসক ।। ব্যালটে হাত পড়লে আমরা অন্য রকম হয়ে যাবো : পুলিশ সুপার বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুমিল্লা সাংস্কৃতিক জোটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ‘বৈশাখ অবগাহন’ অনুষ্ঠিত  আওয়ামী লীগই এদেশের জনগণের সুরক্ষা দিবে : ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর এমপি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো প্রবাসী স্বামীর, আইসিইউতে নববধূ কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের উদ্যোগে আন্ত:কলেজ ভলিবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন কুবি ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে কুমিল্লার রামমালা গ্রন্থাগারের দুষ্প্রাপ্য পুঁথি-পান্ডুলিপি

সাদিক মামুন
  • আপডেট টাইম রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৫৮ দেখা হয়েছে

প্রায় ১১২ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লার রামমালা গ্রন্থাগার উপমহাদেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সভ্যতার ধারক বাহক। কুমিল্লা নগরীর শিক্ষাবোর্ড সড়কের ঈশ্বর পাঠশালা ক্যাম্পাসে অবস্থিত এ গ্রন্থাগারটি একটি দুর্লভ প্রাচীন হাতে লেখা পান্ডুলিপির সংগ্রহশালা। বাংলাদেশে এরকম প্রাচীন সংগ্রহশালা আরেকটি নেই। প্রাচীন এ গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত আছে পুঁথি, শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির নানা নিদর্শন। যা কালের সাক্ষী হয়ে শতবর্ষ পার করেছে। কিন্তু অযত্ন-অবহেলা আর যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে রামালা গ্রন্থাগারের অমূল্য বই আর দুষ্প্রাপ্য পুঁথি-পান্ডুলিপি।

 

কুমিল্লার রামমালা গ্রন্থাগারে বিভিন্ন ধরণের ৩০ হাজার বই ও আট হাজার প্রাচীন পুঁথি রয়েছে। পুঁথিগুলো সংস্কৃত ও বাংলা ভাষায় লেখা। সংস্কৃত ভাষায় পুঁথির সংখ্যা ছয় হাজারেরও বেশি। এছাড়া পান্ডুলিপিগুলো তালপাতা, কলাপাতা, তুলট কাগজ ও কাঠসহ নানা উপাদানের ওপরে লেখা। রামমালা গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করেন দানবীর মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য। তার মাতা রামমালা দেবী স্মরণে ১৯১২ সালে কুমিল্লা শহরের উপকন্ঠ শাকতলায় নিজ বাড়ির বৈঠকখানায় তিনি এটি প্রতিষ্ঠা করেন। সেসময় ঈশ্বর পাঠশালার অন্যতম পন্ডিত সূর্যকুমার স্মৃতিতীর্থ গ্রন্থাগারটি পরিচালনা করতেন। সংস্কৃত ভাষায় লেখা বেশিরভাগ শাস্ত্রগ্রন্থ সাধারণ পাঠকের বোধগম্য হয়নি বিধায় গ্রন্থাগারে কিছু কিছু বাংলা পুস্তক, প্রবাসী, ভারতবর্ষ মাসিক পত্রিকা রাখা হতো। ধীরে ধীরে গ্রন্থাগারে হাতে লেখা প্রাচীন পুঁথিও সংগৃহীত হতে থাকে। ১৯৫০ সালে শিক্ষাবোর্ডের সামনে মহেশাঙ্গনে রামমালা গ্রন্থাগারটি স্থানান্তর করা হয়।

 

রামমালা গ্রন্থাগারে বর্তমানে তিনটি বিভাগ রয়েছে। গবেষণা, পুঁথি ও সাধারণ। গবেষণা বিভাগে ভারতীয়, সংস্কৃতি, বেদ, ধর্মসহ বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম সংরক্ষিত আছে। সাধারণ বিভাগে রয়েছে দেশি-বিদেশি পত্র-পত্রিকা ও বিভিন্ন গ্রন্থ। পুঁথি বিভাগে হাতে লেখা প্রাচীন সংস্কৃত ও বাংলা পুঁথি সংরক্ষিত রয়েছে। যার সংখ্যা প্রায় আট হাজার। তারমধ্যে দুই হাজার তালপাতায় লেখা। বাকিগুলো কলাপাতা, তালপাতা, ভোজপাতা ও গাছের বাকড়সহ কাঠের ওপর খোদাইকৃত হাতের লেখা।

 

পুঁথি বিভাগে ৩ থেকে ৪শ’ বছর আগের সংস্কৃত ভাষার পুঁথিও রয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসব পুঁথি সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠার সময় থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত ২৭জন ব্যক্তি এ গ্রন্থাগারে পুঁথি দান করেছেন। তাদের নামও রয়েছে গ্রন্থাগারে। সময়ের আবর্তে এসব পুঁথিগুলো গ্রন্থাগারের আবদ্ধ ঘরে দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ধুলা-বালিতে একাকার পুঁথি-পান্ডুলিপিগুলো।

 

রামমালা গ্রন্থাগার বর্তমানে মহেশ চ্যারিট্যাবল ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। রামমালা গ্রন্থাগারের প্রাক্তন গ্রন্থাগার পন্ডিত প্রবর রাসমোহন চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ শিষ্য ঈশ্বর পাঠশালার সাবেক শিক্ষক ইন্দ্র কুমার সিংহ সহকারি গ্রন্থাগারিক পদে থেকে দুর্লভ এই গ্রন্থাগার দেখভাল করেছেন। প্রায় ৯০ বছর বয়সে ২০২২ সালের জুন মাসে ইন্দ্র কুমার সিংহের মৃত্যুর পর রামমালা গ্রন্থাগার অনেকটা দেখভাল শূন্য হয়ে পড়ে।

 

ঈশ্বর পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুধাংশ কুমার মজুমদার জানান, রামমালা গ্রন্থাগারের মূল্যবান বই আর দুর্লভ পুঁথিগুলো পড়ার যেন পাঠক নেই। পাঠকের অভাবে এসব যেনো কেবলই কাগজ। অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হতে যাচ্ছে দুষ্প্রাপ্য পুস্তক আর পুঁথি। আর্কাইভের মতো করে বড় আকারের আধুনিক লাইব্রেবির মাধ্যমে এই গ্রন্থাগারের দুর্লভ পুস্তক ও পুঁথিগুলো সংরক্ষণ করা গেলে অজানাকে জানা আর জ্ঞানার্জনে ভবিষ্যত প্রজন্ম অনেক উপকৃত হবে।

Last Updated on February 25, 2024 3:31 pm by প্রতি সময়

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...

বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন।

themesba-lates1749691102