সাবেক মেয়র সাক্কুর সমালোচনা করে কুমিল্লা-৬ আসনের এমপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, সকল প্রতিষ্ঠানের একটি নিজস্ব জনবল কাঠামো থাকলেও বিগত একযুগেও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের জনবল কাঠামো তৈরি করতে পারেনি। সিটি কর্পোরেশনের স্থায়ী জনবল মাত্র ৮০/৮৫ জন হলেও সাক্কু মাষ্টার রুলে দলীয় কর্মী নিয়োগ দিয়েছে প্রায় ৮’শ জন। তারা কাজ না করেই বেতন নিয়েছে আর এবারের নির্বাচনের সময় সাক্কুর পক্ষে কাজ করেছে। বিগত সময়ে আমার এনে দেওয়া শত শত কোটি টাকা লুটপাট করেছে সাক্কু। তার বিচার হবে।
শনিবার সকালে নগরীর মুন্সেফবাড়ির নিজ কার্যালয়ে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
কুমিল্লায় আওয়ামী লীগে এখনও বেশ কিছু মুনাফেক রয়েছে মন্তব্য করে এমপি বাহার বলেন, এসব মুনাফেকরা ঘাপটি মেরে দলের ক্ষতির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। এসব মুনাফেকদের কারণে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে হয়তো আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফেল করে নয়তো কম ভোটের ব্যবধানে পাস করে। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনেও এসব মুনাফিকরা দলের ক্ষতিতে লিপ্ত ছিল।
তিনি বলেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে এসব মুনাফিকগুলো একাট্টা হয়ে নৌকার বিজয় থামাতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহ আমাদের এই বিজয় এনে দিয়েছেন। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে রিফাতের নৌকার বিজয় আমার অনেক কষ্টের ফসল হলেও নৌকার প্রাপ্ত ভোটে আমরা সন্তুষ্ট নই। প্রশাসনিক সন্ত্রাস আর দলীয় কিছু নেতার মুনাফেকির কারণে নৌকা কম ভোট পেয়েছে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে এমপি বাহার বলেন, প্রশাসনের কিছু দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা সাবেক মেয়র সাক্কুর লুটের টাকার কাছে বিক্রি হয়েছিল। এ নির্বাচনে ওইসব দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের মিশন ছিল দুটি। প্রথমত নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রথম শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নবৃদ্ধি করা। আর দ্বিতীয়ত নৌকার বিজয় ঠেকানো।
নাম উল্লেখ না করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু নেতার ভূমিকার বিষয়ে বলেন, সিটি নির্বাচনে আমাদের কিছু দলীয় নেতা মুনাফেকি করেছিল। বিগত ১৬ বছর ধরে সাক্কু মেয়র থাকাকালীন সময়ে সুবিধাভোগী আমাদের কিছু দলীয় কাউন্সিলর রাতের অন্ধকারে সাক্কুর কাছে বিক্রি হয়েছিল।
কুমিল্লা নগরীর উন্নয়ন প্রসঙ্গ তুলে ধরে এমপি বাহার বলেন যানজট, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের আরও যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এমপি বাহার বলেন, সিটি নির্বাচনের সময় কিছু মিডিয়ার ভূমিকা ছিল নেতিবাচক।আমরা চাই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সঠিক চিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরুক।
তিনি বলেন, কয়েকদিন পরেই কুমিল্লা প্রেসক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্লাব পরিচালনায় সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব আসুক।
সবশেষে এমপি বাহার বলেন, নতুন প্রজন্মের জন্য সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের প্রিয় নেত্রী কুমিল্লা নামেই কুমিল্লা বিভাগ দিবেন ইনশাল্লাহ।
Last Updated on July 23, 2022 4:29 pm by প্রতি সময়