পরিবারের একপক্ষ বলছে পিতা-পুত্রের মধ্যে বাক-বিতন্ডার একপর্যায়ে ছাদে উঠতে গিয়ে হোচট খেয়ে পড়ে আঘাতের কারণে পুত্র মারা গেছে। অপরপক্ষের অভিযোগ পিতা ও আরেক পুত্র মিলে মেজো ছেলেকে ইট ও কোদালের আঘাতে মেরে ফেলেছে।
পারিবারিক ঝগড়া বিবাদ ঘিরে মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সকালের দিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়া এলাকায়। এঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে পলাতক রয়েছেন পিতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুড়িচং উপজেলার সদরের মোঃ আনোয়ার হোসেন এর সাথে তাঁর পুত্রদের মনমালিণ্য চলে আসছিলো। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পিতা পুত্রদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে পিতা আনোয়ার হোসেন ও ছোট পুত্র জাহিদুল হাসান সবুজ ছাদে গাছ লাগাতে যায়। এসময় অপর পুত্র (মেজো)) আবুল হাসান (৩০) ছাদে গিয়ে পিতার সাথে তর্কে জড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে পিতা আনোয়ার হোসেন ও ছোট পুত্র জাহিদ ইট ও কোদাল দিয়ে আবুল হোসেনের ঘাড় এবং মাথায় আঘাত করলে সে মারাত্মক আহত হয়।
আহত আবুল হাসানকে উদ্ধার করে প্রথমে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আবুল হাসান মারা যায়।
এদিকে নিহতের বড় ভাই আবুল কালাম জানান, ‘গাছের চারা লাগানো নিয়ে বাবা ও দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। ঝগড়া ও তর্ক-বির্তকের এক পর্যায়ে আবুল হাসান দৌড়ে বাড়ির ছাদের উপর উঠতে গিয়ে হোছট খেয়ে নিচে পড়ে যায়।
অপরদিকে নিহতের স্ত্রী তানিয়া আক্তারের অভিযোগ, টাকা-পয়সা নিয়ে তার স্বামীর সাথে শ্বশুর আনোয়ার হোসেন ও দেবর জাহিদুল হাসান সবুজের প্রায়ই ঝগড়া হতো। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে বাড়ির ছাদের উপর গাছের চারা লাগাতে গেলে শ্বশুর ও দেবর মিলে ইট ও কোদাল দিয়ে আঘাত করে তার স্বামীকে গুরুতর আহত করে। যার কারণে তাকে বাঁচানো যায়নি।
বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গী ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
# দেশ–বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on August 28, 2020 1:24 pm by প্রতি সময়
এই ধরনের আরও খবর...