কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার পশ্চিম চন্ডিপুর গ্রামে শারমিন আক্তার (১৮) নামের এক গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবী করেছেন নিহতের পরিবারের।
শনিবার (১১জুলাই) ওই গৃহবধূর লাশ তাঁর স্বামীর বসত ঘর সংলগ্ন একটি গাছের নিচে পাওয়া যায়।পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে পাঠায়।নিতহ শারমিন আক্তার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম চন্ডিপুর গ্রামের মান্নান সরকারের মেয়ে।
নিহত শারমিনের ভাই জাকির হোসেন জানান, দুই বছর আগে আমাদের একই বাড়ির বাহারুম ভ‚ইয়ার ছেলে সোয়েম ভ‚ইয়ার সাথে আমার বোনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সোয়েম আমার বোনের সাথে সব সময় দূর ব্যবহার করতো। বিয়ের এক বছর এভাবেই নির্যাতন সহ্য করে সংসার করার পর আমার বোনের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
গত কয়েক মাস যাবত সোয়েম শারমিনের সাথে আবার পূণরায় যোগাযোগ করে আবারো সম্পর্ক তৈরী করে। গত সোমবার সোয়েম আমার বোনকে নিয়ে পলিয়ে যায়। আমরা খোঁজাখুঁজি করে তাদের সন্ধান পাইনি। পরে আজ সকালে জানতে পারি সোয়েমের বসত ঘরের উত্তর দিকের একটি কাঠাল গাছের নিচে আমার বোন শারমিনের লাশ পরে আছে। খবর পেয়ে আমি ও আমার পরিবারের লোজন ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানাই।
এদিকে খবর পেয়ে দেবিদ্বার-ব্রাহ্মণপাড়া সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আমিরুল্লা এবং ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আজম উদ্দিন মাহমুদ, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ জাকির হোসেন, এসআই বাবুল হোসেন ও এসআই সফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সরজমিনে তদন্ত করেন।
নিহত শারমিনের পরিবারের দাবী তার প্রাক্তন স্বামী সোয়েম গভীর রাতে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে গাছের নিচে ফেলে রেখেছে এবং আত্মহত্য বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য পরিকল্পিত ভাবে কাঠাল গাছে শারমিনের গায়ের ওড়না ঝুলিয়ে দেয়।
এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকা থেকে উধাও শারমিনের প্রাক্তন স্বামী সোয়েম। তবে তার মা দেলোয়ারা বেগম জানান, শারমিনের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার বিষয়ে তিনি কিছু জানেননা।
ব্রাহ্মণপাড়া থানা অফিসার ইনার্চাজ আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে জানা যাবে ঘটনার মূল রাহস্য, হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
Last Updated on July 11, 2020 2:02 pm by প্রতি সময়